শেকৃবিতে ভিসি বাংলোর সামনে অবস্থান শিক্ষার্থীদের
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) প্রশাসনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের আকা ইজরায়েল ও ইস্কনের পতাকা মুছে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসনের কাছ থেকে জবাব না পাওয়া অবধি ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। এ ছাড়া ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে দখলদার ইজরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ইসরাইলের পতাকা এবং অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করার প্রতিবাদে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকে ইসকনের প্রতীক অঙ্কন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে একদিন না পেরোতেই সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে শেকৃবি প্রশাসনের আদেশে তা মুছে ফেলা হয়।
প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে সোমবার পুনরায় পতাকা আকতে গেলে বাধা দেন শেকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক আরফান আলী। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক তৌহিদুল ইসলাম আশিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের তার কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় আশিক বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে হতবাক। আমরা আমাদের কার্যক্রম আরো বাড়াব। একটি গেটে পতাকা ও প্রতীক এঁকেছিলাম, তারা মুছে দিয়েছে। এখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গেটে এবং হলগুলোর গেটেও আঁকব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল মোড়েও বড় করে পতাকা আঁকা হবে। এতে যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাধা দেয়, তাহলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এবং ভিসির বাসভবনের সামনেও আঁকা হবে। যারা ছাত্র-জনতার রক্তের মাধ্যমে প্রশাসনের দ্বায়িত্বে এসেছেন, তারা যদি ভারতের দালালি করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা ব্যবস্থা নেবে।
আরো পড়ুন: কূটনৈতিক মিশনে হামলায় ভারতের মৌন সম্মতি স্পষ্ট: ছাত্রদল
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আরফান আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে মুছে ফেলা হয়েছে। যেহেতু ইসকন হাইকোর্ট কর্তৃক বাংলাদেশে নিষিদ্ধ না, তাই এ কাজের মাধ্যমে যাতে ক্যাম্পাসে সম্প্রীতি নষ্ট না হয় এবং ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন বজায় থাকে- সেজন্য এটা মুছে ফেলা হয়েছে।
এদিকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে পতাকা মুছে ফেলার ঘটনার উপযুক্ত জবাবের জন্য ভিসি বাংলোর সামনে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.আব্দুল লতিফ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পতাকা মুছে ফেলার ব্যাপারে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভ মিছিলের ব্যাপারে আমি আগে জানলে আরও আগে নামতাম। তোমাদের আঁকতে মন চাইলে আকঁ। আমরা অনুমতি দিয়েছি বলা যাবে না। তোমরা তোমাদের মতো কর।’