শেকৃবিতে শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে শিক্ষকদের ১৩ দফা
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে ১৩ দফা দাবি পেশ করেছেন এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের শিক্ষকরা। অনুষদটির পাঁচটি বিভাগ ও অন্যান্য অনুষদের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিভাগের শিক্ষকরা সম্মিলিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় দাবিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) অনুষদের কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষকরা স্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন চালু করা, শ্রেণিকক্ষে স্মার্টবোর্ড ও সিপিউ স্থাপন, গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি, গবেষণার নিমিত্তে বিদেশ গমন সহজীকরণ, বামহাতি শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার হলে বিশেষ চেয়ার স্থাপন, কোর্স ক্রেডিট কমানো ও সিলেবাস আপডেট, দ্রুত ফল প্রকাশের ব্যবস্থা, শ্রেণিকক্ষের অকেজো মাল্টিমিডিয়া ব্যবস্থা মেরামত ও প্রতিস্থাপন, শব্দ দূষণ রোধ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা চালু, কম্পিউটার ল্যাবের আধুনিকায়ন, রিডিং রুম, প্রেয়ার রুম ও কমন রুম চালু করাসহ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে শেকৃবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন। এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অশোক কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় দাবিগুলো পেশ করেন সিনিয়র অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার শিক্ষকদের আশ্বস্ত করে বলেন, বাজেটের সুষ্ঠু বণ্টনের মাধ্যমে আপনাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ অনুষদের শিক্ষার পবিবেশের উন্নয়ন করা হবে।
আরো পড়ুন: ঢাকা ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত যেভাবে
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন, আমরা মিডটার্ম চালু করার মাধ্যমে পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছি। আপনারা পরীক্ষার রুটিন যথাযথভাবে ফলো করবেন। খাতা মূল্যায়নের ডেডলাইন ফিক্স করা হবে। সেটাও ফলো করতে হবে। তাহলে আমাদের পক্ষে সেশনজট কমানো সম্ভব হবে। আমরা গ্লোবাল গ্র্যাজুয়েট তৈরি ও আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে স্থান করে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা (শিক্ষকবৃন্দ) আপনাদের গবেষণার তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপডেট করবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, দেশের সবগুলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ভেদে একই সিলেবাস প্রণয়ন করা দরকার। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনারা আপনাদের সুচিন্তিত প্রস্তাব পেশ করবেন। আর আপনাদের দাবিগুলো বাজেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। এ সময় তিনি আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে শ্রেণিকক্ষের প্রত্যাশিত সংস্কার বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেন।