শেকৃবিতে সেকশন অফিসারের বিরুদ্ধে বাকি খাওয়ার অভিযোগ
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাকি খাওয়া, চাঁদাবাজি একটি নিয়োমিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাকি না দেওয়া হলে দেওয়া হত হুমকি আবার বাকি খেয়ে তা পরিশোধ করতেন না দীর্ঘ সময়। তবে ক্ষমতার পালা বদলের পর বাকি পরিশোধ করছেন অনেক ছাত্রলীগ নেতা। কিন্তু ছাত্রনেতা থাকা অবস্থায় বাকি খেয়ে তা এখনো পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট শাখার সেকশন অফিসার গৌতম চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নেতা থাকা অবস্থায় প্রায়শই বাকি খেতেন হলের ডাইনিং ও দোকানগুলোতে। তার বাকির খাতা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের ডাইনিংয়ে বাকি খেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৫০ টাকা। তবে তা এখনো পরিশোধ করেননি।
ক্যান্টিনে গৌতম চন্দ্র রায়ের বাকি খাওয়ার হিসাব
এ বিষয়ে গৌতম চন্দ্র রায় বলেন, ‘হলের ডাইনিং এ আমি খুবই কম খেয়েছি। পলিটিকসে যাওয়ার পর আমি ডাইনিংয়ে খাইনি বললেই চলে। সবসময় বাইরে খেয়েছি বা রুমে রান্না করে খেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ এটি। এত বেশি পরিমাণ বাকি থাকলে ডাইনিং ম্যানেজার অবশ্যই আমার সাথে যোগাযোগ করত। এত বাকি থাকার প্রশ্নই আসে না। দু-এক দিন বাকি খেতে পারি, কিন্তু এত টাকার বাকি আমার কখনোই ছিল না। আমার রুমমেট, গেস্ট কেউ কখনোই আমার নামে বাকি খায়নি।’
আরও পড়ুন: শেকৃবিতে বিশ্ব মৌমাছি দিবস-২০২৪ উদ্যাপন
ডাইনিংয়ে কর্মরত স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গৌতম ডাইনিং স্টাফদের সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করতেন। তিনি প্রায়ই বাকি খেতেন।
এর আগে হলটির ক্যান্টিনের বাকির পরিমাণ দাঁড়ায় ১২-১৩ লাখ টাকা। যার অধিকাংশই ছিল ছাত্রলীগ নেতাদের নামে। তবে সেই বাকি সামনে আসার পর বাকি পরিশোধ করেছেন অনেকেই। কিন্তু এখনো হলের ডাইনিংয়ের বাকি পরিশোধ করেননি এই সেকশন অফিসার।
এ ছাড়া ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড প্যারাসাইটলজি বিভাগের শিক্ষক ড. এমএ মান্নানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ও রয়েছে এই সেকশন অফিসারের বিরুদ্ধে।