কৃষি গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব: বাকৃবি উপাচার্য
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ শিক্ষিত জনশক্তি তৈরি হবে, যা দেশের কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করবে। বাকৃবির স্বতন্ত্রতা ও আদর্শকে বজায় রাখতে আমরা গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। একযোগে দেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে বাকৃবি কেন্দ্রে আসন ছিল ১২ হাজার ৬৩৪টি।
বাকৃবি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সব অনুষদ, করিম ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ মোট ২০টি অঞ্চলে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা বিষয়ে সব পূর্বপ্রস্তুতি আমরা নিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে ছাত্রলীগে পদ বঞ্চিতরা পোড়ালেন শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি
ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেছেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো শহীদুল হক , রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো হেলাল উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট , ময়মনসিংহ জেলা পুলিশসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য, এবার ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৭১৮। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ১ হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯৮, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭০, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৮, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০ ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি আসন রয়েছে।