বাকৃবি গ্রাজুয়েটদের উপর হামলার বিচার দাবি
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বর ও কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) সামনে ‘সালেহ-মোয়াজ্জেম’ প্যানেলের সমর্থক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গ্রাজুয়েটদের উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাকৃবি পরিবার। শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে ওই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. সোলায়মান আলী ফকিরের সভাপতিত্বে এবং পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান খোকন, শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী শাহানারা বেগম, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি আরিফ জাহাঙ্গীর এবং আতিকুজ্জামান রয়েল, বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ কাজী এবং সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রুবেল, বাকৃবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি রাফিকুজ্জামান ফরিদ (বাসদ মার্কসবাদী) এবং সৌরভ দাস (বাসদ খালেকুজ্জামান) ও ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সিংহ। এছাড়াও মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের, শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কেআইবি চত্বর ও বিএআরসির সামনে বাকৃবি গ্রাজুয়েটদের উপর হামলা করা হয়েছে। হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এদিকে বাকৃবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাকৃবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ সারোয়ার মোর্শেদ জাস্টিস এবং বাকৃবির অন্যান্য কৃষিবিদদের ওপর অতর্কিত হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর শুক্রবার কেআইবি নির্বচনের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেআইবি নির্বাচন কমিশনের দেয়া ভোটার তালিকার প্রায় ৫ শত এর অধিক গ্রাজুয়েটের কোন সঠিক তথ্য না থাকা ও ঢাকা মহানগরের সকল ভোটকেন্দ্রে শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ও নীতিশ-প্রিন্স প্যানেলের অনুসারীদের ৪০ জন পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করায় সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে ছালেহ-মোয়াজ্জেম প্যানেল।
এরই প্রেক্ষিতে কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল আজিজ হাইকোর্টে এ বিষয়ে আপিল করলে আদালত কেইআইবি নির্বাচন স্থগিতাদেশ দেন। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে কেআইবিতে যান অবসরপ্রাপ্ত মাৎস্য কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য কৃষিবিদ মজিবুর রহমান। এ সময় স্থগিতাদেশ গ্রহণ না করে মজিবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে বিএআরসির সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সারোয়ার মোর্শেদ জাস্টিস, বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এম আনোয়ারুল হকসহ অনেকের উপর অতর্কিত হামলা করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় শিকার হওয়া সবাই বাকৃবির গ্রাজুয়েট।