আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রী-শিক্ষক আটকের এক মাসেও হয়নি প্রতিবেদন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রী-শিক্ষক আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার ঘটনায় এক মাস পার হলেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন। সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিকে প্রথমে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পরে দুই সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় ব্যর্থ হওয়ায় তদন্ত কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও ৭ দিন সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
গত ৩০ মে দ্বিতীয় মেয়াদে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। তবে এখনো পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি। এ প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, গত মাসের ৪ মে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠের আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্যে ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বা সুপারিশ প্রদানের জন্য বলা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক খান মো. সাইফুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আগামীকাল অথবা পরশু আমরা মিটিংয়ে বসবো। এছাড়া আরও একটা মিটিং করা লাগতে পারে। আমরা চেষ্টা করবো আগামী সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার। তবে এর আগেও জমা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, গত ৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে খবর দেন তারা। ওই দিন রাত ১০টার নাগাদ ওই ছাত্রী প্রশাসন বরাবর বাকৃবির প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই শিক্ষার্থী।