সর্বজনীন পেনশন বাতিলের আন্দোলনে শিক্ষকরা, ক্লাস বন্ধ শিক্ষার্থীদের
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে টানা তিনদিন ধরে কালো ব্যাজ ধারণ, মৌন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার থেকে অর্ধদিবস কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন আমতলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। পরবর্তীতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমতলা থেকে একটি মৌন মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আমতলাতে এসে শেষ হয়।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে গত ১৪ মে থেকে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। এ সময় অর্ধদিবস পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় সকল অনুষদের সেমিস্টার ফাইনাল ব্যতীত ক্লাস ও পরীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে মৌন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান (অতিরিক্ত দায়িত্ব), আওয়ামীপন্থি শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড সুবাস চন্দ্র দাস, কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড কাজী শাহানারা আহমেদসহ শিক্ষক সমিতির সকল সদস্য শিক্ষক।
আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনকে বিঘ্নিত করে। আমরা কোনোভাবেই আমাদের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রতি এরকম বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত মেনে নিবো না। প্রত্যয় স্কিম বাতিলের আমাদের এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম নামে নতুন একটি স্কিম চালু করা হয়েছে এমন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এ বছর জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার চাকরিতে যারা যোগদান করবেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত করা হবে। সরকারের এমন সিদ্ধান্ততে বৈষম্যমূলক হিসেবে উল্লেখ করে টানা তিনদিন ধরে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সকল শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।