দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ কষ্টে দিন পার করছে: সিকৃবি উপাচার্য
বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে বাংলাদেশের যারা প্রথম সারির চাকরিজীবী তারাই হয়ত কোন মতে চলতে পারছে অন্যান্য সাধারণ দিনমজুরসহ মধ্যবিত্ত মানুষরা অনেক কষ্টে তাদের দিন পার করছে এমন মন্তব্য করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁঞা। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের পরবর্তীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পথ হারিয়েছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কে সঠিক পথ দেখিয়েছে। এক সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আমাদেরকে শুনতে দেয়া হতো না এখন বর্তমানে আমরা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সহ মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত বিভিন্ন ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে যে কোন বিষয় শুনতে পারি, জানতে পারি।
এর আগে, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবন, সকল একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহিদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গান ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান প্রচার শুরু হয়।
পরবর্তীতে সকাল দশটায় আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় যা ক্যাম্পাসের মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মরণ করে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, ডিন কাউন্সিল, প্রভোস্ট কাউন্সিল, প্রক্টর কার্যালয়, বিভিন্ন আবাসিক হল, শিক্ষক সমিতি, অফিসার পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, সাদা দল, গণতান্ত্রিক অফিসার পরিষদ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ও ল্যাপ্স।
এছাড়াও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন অনুষদীয় ছাত্র সমিতি, সিকৃবি সাংবাদিক সমিতি, বিভিন্ন আঞ্চলিক সমিতি ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁঞা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং বাদ জোহর মসজিদ কমিটির উদ্যোগে জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত ও স্থানীয় মন্দিরেও পূজা উদযাপন কমিটি বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করে।