বাকৃবি ক্যাম্পাস মাতালো সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পদচিহ্ন’
‘আহা আজি এ বসন্তে, এত ফুল ফোটে৷ এত পাখি গায়,’ কালপরিক্রমায় প্রকৃতিতে স্বীয় আগমনি বার্তা নিয়ে পৌঁছে গেছে ঋতুরাজ বসন্ত। বসন্তের আগমনে প্রকৃতি তার নিজ কন্যাকে সাজিয়ে তুলেছে চিরাচরিত রূপে। এই রূপের সাক্ষী হতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সেজে উঠেছে সাতরঙা প্রাণে। আর বাকৃবিতে এই বসন্তের আগমনকেই বরণ করে নিল সাংস্কৃতিক সংগঠন পদচিহ্ন।
ফাগুনের এই নাতিশীতোষ্ণ বিকেলে, যখন আড়মোড়া ভেঙে বাইরে ঘুরতে বেরিয়েছে সবাই, ঠিক সেই গোধূলি লগ্নে বাকৃবি চত্বরের হেলিপ্যাডে 'আরেক ফাল্গুন' উদযাপন করলো পদচিহ্ন।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫ টায় হেলিপ্যাডে ফ্ল্যাশমব অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘আরেক ফাল্গুন’ আয়োজন। ক্রমান্বয়ে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটে এই আয়োজনের।
ফ্ল্যাশমবে দ্বৈত ও দলীয় নিত্য পরিবেশন করেন পদচিহ্নের সদস্যরা। এছাড়া সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় বসন্ত আগমনি গানের সাথে সুর মিলান বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। ফাল্গুনের এই উৎসবমুখর আয়োজনে বাকৃবি চত্বরে বসন্তের আগমন যেন পূর্ণতা পেয়ে উঠলো।
পদচিহ্নের সাধারণ সম্পাদক মো. আসিফুর রহমান বলেন, অনেক দিন ধরেই ফ্ল্যাশমবের পরিকল্পনা করা হলেও এটি করার সময় হচ্ছিলো না। শেষ পর্যন্ত অল্প কিছুদিনের অনুশীলনে বাকৃবিয়ানরা উপভোগ করতে পারে এমন কিছু উপহার দিতে পেরে নিজের কাছে ভালো লাগছে। আমাদের ফ্ল্যাশমব আর সঙ্গীত সন্ধ্যা, দুইটাতেই আমাদের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম বড় ভূমিকা রেখেছে এই প্রোগ্রামটা সফল করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, তবে আলাদা করে ধন্যবাদ দিতে চাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের। তারা এই কয়েকদিনেই নিজেদেরকে এরকম সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত করেছে, নির্ভয়ে পারফর্ম করেছে, এটাই বড় প্রাপ্তি। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমাদের পদচিহ্নের এই আয়োজনটি বাকৃবিয়ানদের কাছে উপভোগ্য ছিল।