০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৬

কৃষিতে প্রথমসহ ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার হলেন বাকৃবির দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী

পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত মো. মেহেফুজুল ইসলাম, বন ক্যাডারে ১ম হওয়া মাহদী হাসান ও ভেটেরিনারি ক্যাডার কবির আহাম্মদ আবির  © টিডিসি ফটো

৪৩তম বিসিএসে দুই হাজার ১৬৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এরমধ্যে কৃষি ক্যাডারে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জনসহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) দেড় শতাধিকেরও বেশি শিক্ষার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্যে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।

পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার স্বাক্ষরিত সুপারিশ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে গত গত মঙ্গলবার বলা হয়েছে, ৪৩তম বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ২১৮টি পদের বিপরীতে দুই হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।

৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে বাকৃবি থেকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ১৫৫ জন শিক্ষার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। একটি অনলাইন জরিপের সর্বশেষ তথ্যের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকৃবির সাবেক শিক্ষার্থী এবং পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান।

মো. মিজানুর রহমান জানান, এবার বাকৃবি থেকে পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১ জন, প্রশাসন ক্যাডারে ১৮ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৬ জন, কর ক্যাডারে ৫ জন, অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ক্যাডারে ১ জন, তথ্য ক্যাডারে ২ জন, লাইভস্টক ক্যাডারে ৫৫ জন, মৎস্য ক্যাডারে ১০, কৃষি ক্যাডারে ৫৫ জন ও কৃষি প্রভাষক ২ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এবার প্রশাসন ক্যাডারের সংখ্যা কিছুটা কমেছে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ১৫৫ জন একদম সঠিক বলা যাবে না, কারণ অনেকেই হয়তো অনলাইন জরিপে অংশ নেননি। সংখ্যটা কিছু বাড়তে পারে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন, কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হওয়ার কারণে বাকৃবি থেকে বরাবরই টেকনিক্যাল ক্যাডারে অনেক বেশি চাকরি পেয়ে থাকেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে পড়াশোনার পরিবেশ অনেক ভালো হওয়ার কারণে চাকরিপ্রার্থীরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন। করোনা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন কারণে চাকরিপ্রার্থীরা এবার আরও বেশি পরিশ্রম করেছেন।

৪৩তম বিসিএসে কৃষি ক্যাডারে প্রথম হয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন মাহদী হাসান। এছাড়াও তিনি ৪১তম বিসিএসেও বন ক্যাডারে ১ম হয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

৪৩তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন মো. মেহেফুজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সবাই বলতো পররাষ্ট্র ক্যাডার চয়েস দিয়ে ভাইভাতে ভালো না পারলে নাকি ফেল করিয়ে দেয়। তাই বেশিরভাগই প্রশাসনকেই প্রথম চয়েস হিসেবে কমফরটেবল ফিল করে। আমি ছিলাম তার বিপরীতে। পররাষ্ট্রতেই নিজের স্বপ্নগুলো সাজিয়েছিলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বাকৃবির যেসব শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করি, তারা নিজেদের কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুনাম বয়ে আনবেন। পাশাপাশি সবার প্রতি আমার আহ্বান থাকবে যে, শুধু বিসিএস নয়, বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা অর্জন করে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে।