০২ নভেম্বর ২০২৩, ২২:০৯

সাদামাটা আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন সিকৃবির

  © টিডিসি ফটো

আজ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ১৯৯৫ সালে সিলেট নগরীর আলুরতল এলাকায় সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে কৃষি সম্প্রসারণের কথা চিন্তা করে ২০০৬ সালের দোসরা নভেম্বর কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপ দেয়া হয়। আজ প্রতিষ্ঠার দেড়যুগে প্রবেশ করেছে সিকৃবি অথচ দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলনা কোন আমেজ। ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরুর মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরবর্তীতে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভুঁঞা। এরপর কেক কাটা ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন।

এমন অনাড়ম্বর আয়োজনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকে। সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কোনো প্রোগ্রামই হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রোগ্রাম নেই এটা কোনোভাবেই মানা যাচ্ছে না। এখানে কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাব স্পষ্টতই প্রতীয়মান হচ্ছে। তারা আরো জানান,  শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিগত সময়ে কয়েকটি কনসার্ট আয়োজন হলেও বরাবরের মতই এবারেও ঢিলেঢালাভাবে আয়োজন হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বর্তমান শিক্ষার্থী জানান, আমরা টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় এমনিতেও ক্লাস ও প্র‍্যাক্টিক্যালের চাপে খুব একটা উৎসব আয়োজনের সুযোগ পাই না। তাই সবাই অনেক অপেক্ষা করে থাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জন্য। তবে এত আশা নিয়ে অপেক্ষা করার পরও যখন দেখি শুধু কেক কাটা ও পায়রা অবমুক্ত করার মাধ্যমে আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন শেষ, তখন বিষয়টা আমাদের খুবই হতাশ করে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভুঁঞা বলেন, "বড় করে অনুষ্ঠান করার পিছনে সবচেয়ে বড় যে দুইটি প্রতিবন্ধকতা এবার দেখা দিয়েছে তার একটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সামর্থ্য ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি। দেশে বর্তমানে একটি রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। আমার অনেক শিক্ষার্থীরা অবরোধের কারণে ক্লাসেও আসতে পারছে না। পাশাপাশি সরকার থেকেও এখন এমন আয়োজনের ক্ষেত্রে বাজেটের স্বল্প ব্যবহারের কথা বলা আছে। তাই এমন একটি পরিস্থিতিতে আমরা জাকজমকভাবে আয়োজন করে অনুষ্ঠান উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাছাড়া ১৭ বছর উদযাপন এমন কোনো সিগনিফাইং কোনো সংখ্যা না। আমরা ২০ বছর, ২৫ বছর এমন মাইলফলকগুলো বেশ বড়ো করে আয়োজন করবো। তবে শিক্ষার্থীদের হতাশার কথা  চিন্তা করে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিময় থাকলে আমরা আসন্ন স্নাতক শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত জাকজমকভাবে আয়োজনের কথা ভাবছি।"