ডিজিটাল লেনদেনের যুগে বাকৃবি, ৫ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি
অনলাইনে সকল আর্থিক লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যে পাঁচটি অনলাইন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) উচ্চশিক্ষালয়টির উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ফলে পরবর্তী সেমিস্টার থেকেই শিক্ষার্থীরা তাদের সকল অ্যাকাডেমিক ফি অনলাইনে দিতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিজিটাল লেনদেনের লক্ষ্যে দেশের অনলাইন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ, উপায়, রকেট এবং পূবালী ব্যাংকের সাথে চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন বিভাগ, শাখা, অফিস এবং হলে কর্মরত কর্মকর্তা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর সকল কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সকল আর্থিক লেনদেন অনলাইনে করতে পারবেন।
শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি, ভর্তি পরীক্ষার ফি ও অন্যান্য সকল ফি অনলাইন ভিত্তিক করা হবে। বিকাশ, নগদ, উপায় এবং রকেটের মাধ্যমে ফি প্রদান করলে এক শতাংশ (১০০ টাকায় ১ টাকা) টাকা কর্তন করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করলে অতিরিক্ত কোনো খরচ লাগবে না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অনলাইন ছাড়াও ব্যাংকে গিয়ে সশরীরে লেনদেন করার সুযোগ থাকবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড মো. আব্দুল আওয়ালসহ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসলাম আলী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সেবা প্রদানকারী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. গোলাম রাব্বানি, ডাচ বাংলা ব্যাংকের (রকেট) রিজিওনাল ম্যানেজার মো. ফিরোজ আলম, বিকাশের বাণিজ্যিক বিভাগের ম্যানেজার রাইয়ান মাহমুদ, নগদের বাণিজ্যিক প্রধান মো. গোলাম মূর্তজা ও উপায়ের সেলস বিভাগের সহকারী পরিচালক হাসান মাহমুদ।
এসময় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনকে ডিজিটালাইজেশনে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করার আশ্বাস দেন। তারা বলেন, ৫ টি প্রতিষ্ঠান এখানে কাজ করবেন। যে যার সেবা প্রদানের পদ্ধতি অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বিষয়গুলোতে অভ্যস্ত। আর্থিক লেনদের বিষয়টি ডিজিটালাইজেশনে চলে আসলে শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ অনেকটাই সুবিধা হবে। সেমিস্টার ফি ছাড়াও অন্যান্য বিষয়গুলো তারা মোবাইলের মাধ্যমে সহজেই শেষ করতে পারবে। তবে তার আগে প্রশাসনিকভাবে আমাদের প্রযুক্তির দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। যে কোনো ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাকৃবি কিছুটা হলেও অবদান রাখতে সক্ষম হবে।