সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক নয়: বাহাউদ্দিন নাছিম
সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। সরকার সংবিধানের বাইরে গিয়ে কিছুই করবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাছিম বলেন, সংবিধানকে অনুসরণ করলেই জনগণের আস্থা অর্জন করা যায়। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, জনগণের উপর আস্থাশীল। এ অবস্থায়ও বিএনপি কালো পতাকা মিছিলের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে বিএনপির ক্যাডাররা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র সরবরাহ করে বিভিন্ন জায়গায় ধরাও পড়ছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের নামে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই মূলত তাদের এসব আয়োজন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, জিয়া, ফারুক, রশিদ, খন্দকার মুশতাক প্রকৃতপক্ষে এরা কেউই চিন্তা-চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। না হয় মাত্র ৪ বছরের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে তারা সরে এসে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারতো না।
তিনি বলেন, খন্দকার মুশতাক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীনও পাকিস্তানের সাথে হাত মেলাতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ ২৩ বছর যে অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন সেই একই শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের এখনও লড়াই করতে হচ্ছে। জিয়া, এরশাদ এরা একই ধারার এবং মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির রাজনীতি করেন।
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অসহযোগিতা, ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ, ৭৫ এর হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের আগস্টে গ্রেনেড হামলা সবই পরিচালিত হয়েছিল এ অপশক্তির মাধ্যমেই বলেও মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
আলোচনায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাসচিব কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম প্রিন্স, শেকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ ফয়েজ আহম্মদ।