১৮ কোটি মানুষের পেট ভরে খেতে পারার অবদান বাকৃবির: ভিসি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগে সাত কোটি মানুষ খাবার পেতো না; এখন ১৮ কোটি মানুষ পেট ভরে খেতে পারে। এই অবদান বাকৃবি এবং তার গ্র্যাজুয়েটদের।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে এদিন সকালে হ্যালিপ্যাডে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক এমদাদুল হক ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ।
কৃষিতে বাকৃবির অবদান তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, আগে বছরে ধান উৎপাদন হতো দুইবার; এখন ৩ বার উৎপাদন হয়। পূর্বে খড়া, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হতো। এখন কৃষকরা জানেন এগুলো কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়। এই মোকাবেলা তাদের শিখিয়েছেন বাকৃবির কৃষিবিদরা।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সূচকে ক্ষুধামুক্ত দেশ গঠন এবং বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ দশে অবস্থান করে। এসবই বাকৃবির অবদান। বাকৃবি থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্রগুলো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে হলে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত থিসিস জমা দিতে হবে।
এর আগে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, ব্রহ্মপুত্র নদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ এবং ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস বাস্তবায়ন কমিটি।
দিবসটি উদযাপন উললক্ষে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। শোভাযাত্রাটি হ্যালিপ্যাড থেকে শুরু হয়ে আমতলা ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দিয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
এরপর কৃষি শিক্ষায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন করা হয়। পরবর্তীতে ব্রহ্মপুত্র নদে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে এরপরে আবাসিক হল গুলোতে বৃক্ষরোপণের জন্য হল প্রাধ্যক্ষদের কাছে বৃক্ষের চারা হস্তান্তর করা হয়।
পরবর্তীতে সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশবিদ্যালয়ের অর্জন, ‘শিক্ষা,গবেষণা ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তি’ শিরোনামে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় স্ব-স্ব অনুষদীয় গবেষণা, অর্জন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা বিষয়ে উপাস্থাপনা করেন অনুষদীয় ডিনবৃন্দ।