শেকৃবি হলের খাবারের মান ও পুষ্টি গুনাগুণ নিয়ে মতবিনিময় সভা
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) হলের খাবারের মান, পুষ্টি গুনাগুণ এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে উক্ত প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের পরিচালক ড. শরমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সহযোগী পরিচালক ড. দেবু কুমার ভট্টাচার্য অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এছাড়া বিভিন্ন হলের দ্বায়িত্বরত প্রভোস্টবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন ও কেন্দ্রীয় ক্যাফেটারিয়ার ম্যানেজার ও রাধুনিদের খাবারের মান,পুষ্টিগুণ ও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। খাবার রান্না করার বিভিন্ন পদ্ধতি, খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি, খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় রাখার উপায়, রান্নাঘর পরিষ্কার রাখার বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
ইনস্টিটিউট অফ ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএফএসটি) জেষ্ঠ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম ও ফুড হাবের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুল খান এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন স্বাস্থ্যসম্মত রাখা ও জীবাণুমুক্ত রাখার উপায় নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
আরো পড়ুনঃ সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার, আসনবিন্যাস প্রকাশ
প্রশিক্ষণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাইনিং-ক্যান্টিন ম্যানেজার, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় বিভিন্ন সমস্যাসহ পর্যাপ্ত গ্যাস না থাকা, পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব, শিক্ষার্থীদের বাকি খাওয়া নিয়ে অভিযোগ করে ডাইনিং-ক্যান্টিন ম্যানেজাররা।
সভায় সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ডাইনিং ও ক্যান্টিনের খাবারের গুনগত মান খারাপ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, খাবারে পরিবর্তন না নিয়ে আসাসহ বিভিন্ন হলে খাবারের দামের তারতম্য প্রভৃতি বিষয়ে অভিযোগ করে।
হলের খাবারের গুনগত মান ও পুষ্টিগুন বজায় রাখতে কিছু প্রস্তাবনা দেয়া হয় শেকৃবি সাংবাদিক সমিতি। প্রস্তাবনা সমূহ- খাবারের গুনগত মান ও পরিবেশ তদারকির জন্য হল প্রভোস্টসহ সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের নিয়ে কমিটি গঠন; সকল হলে খাবারের একইমূল্য তালিকা নির্ধারণ; নির্দিষ্ট সময় পরপর বাবুর্চিদের হলগুলোতে পরিবর্তন; কেন্দ্রীয় গবেষণা মাঠে চাষকৃত সবজি হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনে সরবরাহ করা; এবং হলের ফাকা জায়গায় সবজি চাষের ব্যবস্থা গ্রহণ।
প্রধান অতিথির আলোচনায় শেকৃবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড.অলোক কুমার পাল বলেন, "প্রশাসনের একার পক্ষে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সমস্যার সমাধান করতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ডাইনিং-ক্যান্টিন মালিকদেরও সহযোগিতা দরকার।" এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও ডাইনিং-ক্যান্টিন ম্যানেজারদের অভিযোগ লিখে নেন এবং তা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ক্যান্টিনের ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন ক্যান্টিনের সমস্যাগুলোর সমাধান করে দিলে আমরা অবশ্যই খাবারের মান ভালো করতে পারবো। তিনি আরও বলেন, আজকের অনুষ্ঠান থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। বিশেষ করে কীভাবে খাবার সংরক্ষণ করবো, কীভাবে রান্না করলে পুষ্টি নষ্ট হবে না, কীভাবে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখবো—এসব বিষয় শিখতে পেরেছি।