কৃষি গুচ্ছের আবেদন শুরু আজ, থাকছে সেকেন্ড টাইম
কৃষি প্রাধান্য ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন শুরু হচ্ছে আজ। ১০ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। এবছর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি নিবে ৩ হাজার ৫৪৮ জন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা।
আগামী শনিবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৮টি কেন্দ্র একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনের জন্য ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২১ ও ২০২২ সালে এইচএসসি/সমমান ও ২০২১ সালে মানোন্নয়ন পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদনকারীর উভয় পরীক্ষার প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে।
এবছর সর্বমোট ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ২০২২ সালের এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী ইংরেজিতে ১০, প্রাণীবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে।
এবছর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬ আসন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭৫ আসন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯৮ আসন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩ আসন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সে-স বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫ আসন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১ আসন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ আসন এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০ আসন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষিগুচ্ছের আসন তিন হাজার ৫৪৮, ভর্তি পরীক্ষা ৫ আগস্ট
এবার ভর্তি পরীক্ষায় মোট আটটি কেন্দ্র থাকবে
১. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর
৩. শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
৪.পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী
৫. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সে-স বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম
৬. সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
৭. খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা
৮ হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনকারী তার আবেদনের সময় পছন্দমত বিশ্ববিদ্যালয় তালিকার শীর্ষে দিয়ে ১ থেকে ৮ পর্যন্ত পছন্দক্রম দিতে হবে। পরবর্তীতে আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস করা হবে। এক্ষেত্রে পছন্দক্রম ও আবেদন ফি প্রদানের তারিখ ও সময়ের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পরীক্ষাকেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে।