বাকৃবি কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের শোকজ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কর্মচারীদের মারধর ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে এ ঘটনায় অভিযোগপত্র দিয়েছে চারটি কর্মচারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকদ। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শোকজ নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১ এপ্রিল এক নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এর প্রতিবাদে নিরাপত্তা শাখার সব কর্মচারী কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য ৫ এপ্রিল উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের কার্যালয়ে আলোচনা আহ্বান করা হয়। এ সময় বাকৃবি অফিসার পরিষদের সভাপতি মো. খাইরুল আলম নান্নু ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার আমজাদ এবং ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী সভাকক্ষে প্রবেশ করে কর্মচারীদের ক্ষতির হুমকি দেয়।
পরে সভা বাতিল করা হয়। এ সময় তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও অবমাননাকর আচরণ করেন। এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল কর্মচারী পরিষদ কার্যালয়ে জরুরি সভায় চারটি সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো হলো- নিরাপত্তা শাখার কর্মচারীদের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, হল শাখার কর্মচারীদের শিফটিং ডিউটি বন্ধ থাকবে, ৯ এপ্রিল থেকে প্রশাসনিক ভবনের সব কর্মচারীদের পূর্ণ কর্মবিরতি পালন এবং জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কাউন্সিলিং করে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ এ পরিস্থিতির ইন্ধন দিয়েছেন বলে অভিযোগ কর্মচারীদের। এজন্য তার পদত্যাগ ও মারধরকারীদের বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ বলেন, উপাচার্যের পাঁচদিনের অনুপস্থিতি ও বিচারকার্য সম্পাদনের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। ৫ এপ্রিল উপাচার্যের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা হয়। সেখানে তাৎক্ষণিক সমাধানের দাবি করেন। এতে অফিসার পরিষদ ও ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় তাদের।
অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার আমজাদ বলেন, তাদের দাবি মিথ্যা ও বানোয়াট। উপাচার্যের শেষ সময়ে এসে দুষ্কৃতিকারীরা স্বাভাবিক পরিস্থিতি ঘোলাটের চেষ্টা করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফুর রহমান বলেন, ১ এপ্রিল নিরাপত্তাকর্মীকে আটকে রাখার ঘটনা শুনে গিয়ে দেখেন, কিছু শিক্ষার্থী একজন নিরাপত্তাকর্মীকে আটকে রেখেছিল। ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।