হলে ওয়াইফাই সিগন্যালই দেখেন, ইন্টারনেট পান না বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
‘‘হলের ওয়াইফাইয়ের সিগন্যাল সবসময়ই দেখা যায়। তবে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে না। এ ইন্টারনেট দিয়ে ফেসবুকে ন্যুনতম একটা মেসেজও করা যায় না। অপেক্ষা করা লাগে বেশ কিছু সময়। এভাবে কি চলা যায়? অথচ আব্দুল জব্বার মোড়, কে আর মার্কেট, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেটেও মিলছে উচ্চ গতির ইন্টারনেট। মার্কেটের দোকানদার এবং স্থানীয়দের জন্যে যেনো এ মহা আয়োজন!’’
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ধীর গতির ইন্টারনেটে এভাবেই ভোগান্তির বয়ান দিচ্ছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহজালাল হলের মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের এক শিক্ষার্থী। কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট সেবার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রমও। বেশ কিছুদিন থেকে এ সমস্যা হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। হল প্রভোস্টদের জানালেও মিলছে না কোনো সমাধান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছেলেদের ৯টি ও মেয়েদের ৫টি আবাসিক হলের প্রতিটিতে দেওয়া হয়েছে ওয়াইফাই সুবিধা। দামিদামি রাউটার থাকলেও ইন্টারনেটের গতি খুবই কম। আবাসিক হলে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটে নিজের প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করেন। কিন্তু ধীর গতির ইন্টারনেটের কারণে কোন কিছুই ঠিক মতো করতে পারছেন না তারা।
ওয়াইফাই নিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওয়াইফাইয়ে কানেক্ট হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ইন্টারনেট স্পীড পাওয়া যাচ্ছে না। ইন্টারনেট স্পিড না থাকায় সময়মতো কোনো কাজ করতে পারছি না। অথচ হল কিছু দূরে আশেপাশের মার্কেটগুলোতে ঠিকই ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট বন্ধ করার তালিকায় বাংলাদেশ পঞ্চম
শিক্ষার্থীরা বলেন, বই পড়া ও গবেষণা কার্যক্রম চালাতে দ্রুত নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রয়োজন। কিন্তু ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে সেসব কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও গতি ধীর হওয়ায় এটা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে উঠছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুল হক আবাসিক হলের শিক্ষার্থী জামিল শিকদার বলেন, আমাদের হলের ওয়াইফাইয়ের খুবই খারাপ অবস্থা। প্রত্যেক ফ্লোরে একটি করে রাউটার আছে। রাউটারের পাশের এক দুই রুমে ওয়াইফাই ভালো কাজ করে। বাকি রুমগুলোতে ওয়াইফাই কাজ করে না। অনেক শিক্ষার্থী নিজস্ব রাউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেট চাহিদা পূরণ করেন।
জানতে চাইলে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ওয়াইফাই সমস্যার বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কেউ অভিযোগ দেননি। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো সমস্যা হলে আমাদেরকে জানাবেন। শিক্ষার্থীদেরও কোনো অভিযোগ থাকলে জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আগে হল প্রভোস্টের কাছে যাবে। হল প্রভোস্ট বিষয়টি সমাধান করতে না পারলে আমরা সমাধানের চেষ্টা করবো।