শেকৃবি ছাত্রীর মৃত্যুর পর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা
রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) হলের ১০ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়া ছাত্রী মারিয়া রহমান (২৫) মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মারিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে আজ সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমের স্বাক্ষরে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে মারিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। কর্তব্যরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শেকৃবির কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের ১০ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। মারিয়ার সহপাঠীরা জানান, মারিয়া বেশকিছু দিন থেকে হতাশায় ভুগছিলেন। তার বেশ কয়েকটা সিটি পরীক্ষা ডিউ ছিল। যেগুলো নিতে টিচাররা অস্বীকৃতি জানায়। এছাড়া অসুস্থতার কারণে ক্লাস করতে পারেনি। ফলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়েও দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এটেন্ডেন্স এবং পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শেকৃবি প্রক্টর ড. হারুন অর রশিদ বলেছিলেন, এটেন্ডেন্স সম্পর্কিত কিছু না, বরং তার মানসিক অবস্থা ১ম বর্ষ থেকে খারাপ। যার জন্য তার ট্রিটমেন্ট চলছিল।