১৩ মার্চ ২০২৩, ২৩:৩৪

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাকৃবিতে ৫৬ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাকৃবিতে ৫৬ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা  © টিডিসি ফটো

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ৫৬ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা, ১৭ জন মরণোত্তর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে তাদের সন্তানদের এবং ১৪ জন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দ সৈনিকদের মাঝে ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করেন বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।

সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উৎযাপন কমিটি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের যাত্রা সহজ ছিল না। বেতার কেন্দ্রটি স্বাধীনতা ঘোষণার সম্প্রচারণসহ স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য অবদান রেখে গেছে। স্বাধীনতার ৫০বছরের পরেও এই তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে গেছে। শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। আমাদের এই গৌরবের ইতিহাস আগামী প্রজন্মের সকলের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে।

প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্যে উপাচার্য লুৎফুল হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন তথ্য ও প্রেরণাদায়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে অসামান্য অবদান রেখে গেছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠ পরিবেশ বিরাজ করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা স্মৃতি ও  অভিজ্ঞতা সর্বস্তরের জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স’ ভবন নির্মাণ করা হবে।

পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, পৃথিবীর আর কোন দেশকে এতো আত্মত্যাগ করতে হয়নি। ৩০লক্ষ লোকের প্রাণের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ অর্জনের পেছনে ভূমিকা রেখে গেছেন বাংলার সর্বস্তরের জনগণ। চাকুরী, অর্থনৈতিক, প্রাতিষ্ঠানিকসহ সকল পর্যায়ে পাকিস্তানিরা আমাদের সাথে চরম বৈষম্য করে গেছে। দেশের মানুষ এই বৈষম্যকে মেনে না নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরণের প্রতিবাদ করেছেন। অবশেষে বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণে সাড়া দিয়ে যার যা কিছু রয়েছে তা নিয়েই স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলার মানুষ। স্বাধীনতা পরবর্তীতে এতো অল্প সময়ে গ্রহণযোগ্য সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধু তার অসামান্য দক্ষতা দেখিয়ে গিয়েছেন। নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজেদের দায়িত্ব পালনে সকলকে সচেষ্ট থেকে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কর্মী পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ।