গরু-ছাগলে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে দেশে আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাবি
দেশের ক্রমবর্ধনশীল জনগণের দুধ, ডিম ও মাংসের চাহিদা মেটাতে প্রাণিসম্পদে আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম। তিনি বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্যশস্যের মতো প্রাণিসম্পদের স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জনে আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরির বিকল্প নেই।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের সভাকক্ষে ‘পশুপালন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মো. আবুল হাশেম বলেন, ধান, পাট, আম, গম ও ভুট্টা গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শস্যের জন্য আলাদা আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎপাদনমুখী বিস্তর গবেষনার কারণে বিভিন্ন জাত উদ্ভাবনের কারণেই দেশ আজ খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পন্ন। দেশের খাদ্যশস্যে যেভাবে উৎপাদন বেড়েছে সেভাবে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বাড়েনি। দেশে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন প্রাণিসম্পদের জন্য আলাদা আলাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেই। সেজন্যই দেশের প্রাণিসম্পদ পিছিয়ে আছে।
সংবাদ সম্মেলনে পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার বলেন, উপজেলা পর্যায়ে এন্ট্রি লেভেলে পশুপালন গ্র্যাজুয়েটদের জন্য পদ সৃষ্টি করতে হবে। যৃগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে পোল্ট্রি ও ডেইরি বিজ্ঞানে পৃথক ডিগ্রি প্রদান করতে হবে। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পশুপালন গ্র্যাজুয়েটদের অবদান রাখার সুযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি প্রাণি উৎপাদন ও প্রাণি চিকিৎসা নামে দুটি আলাদা অধিদপ্তর গঠণ করতে হবে। প্রাণিসম্পদের উৎপাদনমুখী সকল কর্মকান্ডে পশুপালন গ্র্যাজুয়েটদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এনিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চান তিনি।
আগামীকাল মঙ্গলবার ‘দুধে ভাতে পুষ্টি, পশুপালনেই মুক্তি’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পশুপালন দিবস পালিত হবে। এতে বর্ণাঢ্য র্যালি, সেমিনার এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে দুগ্ধশিল্পে প্রতিবন্ধকতা ও সুযোগ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়নের (মিল্কভিটা) চেয়ারম্যান শেখ নাদির লিপু এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।