১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:৪৬

দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এরই মধ্যে অনেক উচ্চ ফলনশীল বীজ ও ফসলের জাত আবিস্কার করেছে। যেটা দেশের জন্য যথেষ্ট কাজে লাগে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “কৃষির বিভিন্ন শাখায় দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির পাশপাশি আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি উন্নত মানের গবেষণার মাধ্যমে ফসলের নতুন নতুন জাত আপনারা উদ্ভাবন করেছেন।”

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্প সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণায় সবথেকে বেশি দক্ষতা দেখিয়েছে। একইসঙ্গে অনেক উন্নত জাতের বা অধিক ফলনশীল ধান, বীজ, তৈল বীজ, সবজি, ফলমূল এবং বিভিন্ন ফসলের প্রায় ৬৭টি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এরই মধ্যে গবেষণা করে ১২ মাসী কাঁঠালের জিনোম সিকোয়েন্স (জন্ম রহস্য উন্মোচন) আবিস্কার  করায় তাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এর মেধাস্বত্ত সংরক্ষণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাবির ৩৩ শিক্ষার্থী

প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর তাঁর সরকার পাটের উপর গবেষণা করে এর জেনোম সিকোয়েন্সিং করে এবং এর মেধাস্বত্তটাও কিন্তু বাংলাদেশের। ফলে, পাটের বহুমুখীকরণ সম্ভব হচ্ছে।

গাজীপুর কাঠালের জন্য বিখ্যাত উল্লেখ করে তিনি কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহারের কথা জানান এবং মাংসের বিকল্প হিসেবে কাঁচা কাঁঠালকে তরকারি হিসেবে খাওয়ার উদাহারণ দেন। তিনি বলেন, আমাদের এখন অনেকেই ভেজিটেরিয়ান হয়ে গেছে মাছ খায় কিন্তু মাংস খায় না। তাদের জন্য বিকল্প কাঁঠাল।

তিনি বলেন, কাঁচা কাঁঠালের বার্গার ও কাবাব হয়। অনেক উন্নত দেশও বিকল্প খাদ্য তালিকায় কাঁঠালকে স্থান দিয়েছে, কাঁচা কাঁঠালের বার্গার মাংসের বার্গার বা রোলের চেয়ে দাম বেশি। এ ফলটির কিছু ফেলনা নয়। সবকিছুই কাজে লাগানো যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এখন বীজ উদ্ভাবনের ফলে বছরে দুবার উৎপাদন করতে পারি। পেঁয়াজ সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে। পেঁয়াজ-রসুন শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়া পেঁয়াজ ও রসুনের গুঁড়োও হয়।