কৃষিগুচ্ছের ভর্তি ফি ১০ হাজার, সময়মতো না দিলে আসন বাতিল
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৮ সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা (অফেরৎযোগ্য) নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে এ ফি জমা দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। ভর্তিচ্ছুরা নিজেদের প্রার্থীতা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের নির্দেশনা অনুযায়ী একাধিক মাধ্যমে এ টাকা জমা দিতে পারবেন।
এর আগে, গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দেশের আটটি কৃষি ও কৃষিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়। চূড়ান্ত মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ ভর্তিচ্ছুরাই কেবল ভর্তি ফি জমা দেবে। কেউ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি জমা না দেয় তাহলে ওই আসন শূন্য ঘোষণা করে অপেক্ষমাণ ভর্তিচ্ছুদের সুযোগ দেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভর্তি প্রার্থীতা নিশ্চিত করার জন্য ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন ফরমের নির্ধারিত স্থানে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।
ভর্তি ফি-এর প্রথম অংশ গত ০১ থেকে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে (অফেরৎযোগ্য) ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত অর্থ জমা না দিলে উক্ত আসন শূন্য গণনা করে অপেক্ষমান তালিকার প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হবে। শূন্য আসনের জন্য (যদি থাকে) অটোমাইগ্রেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: কৃষি গুচ্ছে পাস করেছেন ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী
এতে বলা হয়, এছাড়া অটোমাইগ্রেশন বন্ধ করতে চাইলে ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইনইন করে প্রার্থী তা করতে পারবেন। প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী অটোমাইগ্রেশন সম্পন্ন করার পর শূন্য আসনের জন্য (যদি থাকে) অপেক্ষমান তালিকার প্রাপ্ত ডিগ্রি/বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামসহ ফলাফল আগামী ১৬ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।
কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন ৭৯ হাজার ১৯৫ জন। ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৬৫ হাজার ৩৫৪ জন। আর পরীক্ষার জন্য আবেদন করেও হলে যাননি ১৩ হাজার ৮৪১ জন। পরীক্ষায় ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। সে হিসেবে পাসকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৯৮৫ জন।
পরে গত ১০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট সাতটি কৃষি ও একটি কৃষিপ্রাধান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা হয়। এবারের গুচ্ছভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশের আট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। মেধা তালিকায় মোট তিন হাজার ৪৯৬ জন এবং অপেক্ষমাণ তালিকায় মোট ছয় হাজার ৮১৭ জনকে রাখা হয়। এ বছর মেধা তালিকার শিক্ষার্থীদের পেতে হয়েছে সর্বনিম্ন ৬২ নম্বর। পরে প্রকাশিত এ ফল নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের গরমিলের অভিযোগে পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ দেয় ভর্তি কমিটি।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন রয়েছে।