৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এগিয়ে আসতে পারে তিন মাস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা তিন মাস এগিয়ে আসবে। গত শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি শুরু হয়ে চলে শেষ পর্যন্ত।

গত বছরের ভর্তি পরীক্ষার কমিটিতে থাকা তিনজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে এ, বি ও সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১২ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা), ১৯ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিট (মানবিক) ও ২৬ এপ্রিল ‘সি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন এক শিফটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।

কবে নাগাদ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ছাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এ বছর আগে-ভাগেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও রমজান শুরু হবে। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির আগেই পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে পরামর্শ দেব, জানুয়ারির শুরুতেই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। তবে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির মিটিংয়ে সবই চূড়ান্ত হবে।’

ভর্তি পরীক্ষায় সিলেকশন থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সিলেকশন না থাকার সম্ভাবনা বেশি। প্রয়োজনে শিফট বাড়ানো হবে। দুই শিফটের জায়গায় তিন বা চার শিফটে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এগিয়ে আসছে দুই মাস

একই ধরনের তথ্য জানিয়েছেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। খুব দ্রুতই ডাকা হবে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির মিটিং। সেখানে সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গত বছরের তথ্যানুযায়ী, প্রাথমিক আবেদন ফি ৫৫ টাকা এবং চূড়ান্ত আবেদন ফি ‘বি’ ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা) ১১০০ টাকা এবং ‘এ’ ইউনিট (মানবিক) ও ‘সি’ ইউনিটে ১৩২০ টাকা ছিল। এক ঘণ্টা সময়সীমায় ৮০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নে ভর্তিচ্ছুদের মেধা মূল্যায়ন করা হয়েছিল।

যোগ্যতার বিষয়ে শর্ত ছিল—মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০-সহ মোট জিপিএ ৭.০০ পেতে হবে। বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০-সহ মোট জিপিএ ৭.০০ পেতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০-সহ মোট জিপিএ ৮.০০ চাওয়া হয়।