০৩ জুন ২০২৫, ২১:৩২

কৃষি গুচ্ছে শূন্য আসনের ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা

কৃষি গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়  © লোগো

আগামী ৫ জুন কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত ভর্তি প্রক্রিয়ায় চতুর্থ অটো মাইগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর শূন্য আসনের বিপরীতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ফল প্রকাশিত হবে। আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও কৃষি গুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ড. মো হেলাল উদ্দিনের স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ৫ জুন চতুর্থ অটো মাইগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর শূন্য আসনের বিপরীতে অবশিষ্ট অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ক ভিত্তিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে। চতুর্থ অপেক্ষমাণ তালিকা হতে নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে অনলাইনে ভর্তি ফি এর প্রথম অংশ ১০ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিয়ে ভর্তি হওয়ার আগ্রহ নিশ্চিত করতে ও ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। এটি চলবে আগামী ৬ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আগামী ১৮ জুন চতুর্থ অপেক্ষমাণ তালিকা হতে ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করা প্রার্থীদেরকে প্রাপ্ত নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য ভর্তি ফি-এর সাথে পূর্বে জমাকৃত ১০ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) সমন্বয় করতে হবে এবং মূল ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্র ও কোটা ডকুমেন্টস (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) জমা দিয়ে ভর্তির কার্যক্রম চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এর কোনরূপ ব্যত্যয় হলে তার ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।

পঞ্চম অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চতুর্থ অপেক্ষমাণ তালিকা হতে ভর্তির কার্যক্রম চূড়ান্ত করার পরও যদি আসন শূন্য থাকে তাহলে অটো মাইগ্রেশন সম্পন্ন করে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শূন্য আসনের তিনগুণ ছাত্র-ছাত্রীর পঞ্চম অপেক্ষমান তালিকার ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২০ জুন।

পঞ্চম অপেক্ষমান তালিকায় প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বুথে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে মূল ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্র ও কোটা ডকুমেন্টস (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ভর্তির কার্যক্রম চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন করতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশ শুরুর তারিখ স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করবে।

প্রসঙ্গত, এ বছর বাকৃবিসহ ৯টি কেন্দ্র এবং ১৩টি উপকেন্দ্রে গত ১২ এপ্রিল একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আসনসংখ্যা হলো—বাকৃবিতে ১১১৬, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৫, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭৫, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮০, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২৩, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৯ এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি।