০৩ জুন ২০২৫, ০৯:২৭

মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি বুধবারের মধ্যে, বন্ধ হচ্ছে ছাব্বিশে

সরকারি মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি চলছে  © ফাইল ছবি

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চলছে। আগামীকাল বুধবার (৪ জুন) এ প্রক্রিয়া শেষ হবে। আগামী বছর থেকে এ কোটায় আর ভর্তি নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। সোমবার (২ জুন) মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি শুরু হয়।

অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশনা, অ্যাটর্নী জেনারেলের আইনি মতামত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার অনুযায়ী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত আসনে সংযুক্ত তালিকা অনুসারে সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষগণকে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। 

প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ২ জুন হতে ৪ জুন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবেন। এখানে উল্লেখ্য যে, আগামী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য কোনো আসন সংরক্ষিত থাকবে না।

কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক গঠিত স্থানীয় ভর্তি কমিটি ও মেডিকেল বোর্ড যথাক্রমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মূল সনদপত্রসমূহ যাচাই করবেন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করবেন। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অধিদপ্তরের প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তির অন্যান্য শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নামসহ পূর্ণ তালিকা ও শূন্য আসন (যদি থাকে) সংক্রান্ত তথ্যের সফট্ কপি ই-মেইলে (medicaledu313@gmail.com) ও হার্ড কপি আগামী ১৫ জুনের মধ্যে পরিচালক, চিকিৎসা শিক্ষা শাখায় (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পুরাতন ভবন), স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকায় বিশেষ বাহক মারফত প্রেরন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাবির প্রযুক্তি ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের বিষয় পছন্দক্রম শেষ ২৩ জুন

ভর্তির সময় নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
১. ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র।

২. এইচএসসি পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড।

৩. এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বা নম্বরপত্র। 

৪. এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাসের মূল সনদপত্র ও প্রশংসা পত্র।

৫. স্থানীয় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা পৌরসভার চেয়ারম্যান বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত মূল নাগরিক সনদপত্র। 

৬. চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙ্গিন ছবি।

৭. মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বিধি বিধান অনুসরণযোগ্য।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।