২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৯

গুচ্ছ নিয়ে ফের সভায় বসতে যাচ্ছেন উপাচার্যরা

শিক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আবারও সভায় বসতে যাচ্ছেন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। সভার তারিখ চূড়ান্ত না হলেও আগামী শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) অথবা শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ সভা হতে পারে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন উপাচার্য-এর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রুত আমরা আবারও সভায় বসব।’

জান গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনার পরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি সভা করতে চায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। উপাচার্যরা মনে করছেন, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছে থাকবেন। এজন্য নিয়মিত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তারা। 

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পােসকে বলেন, ‘অধিকাংশ উপাচার্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে। গুচ্ছের কারণে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হয়েছে। তবে কতিপয় ব্যক্তি গুচ্ছের বিপক্ষে কাজ করছে। এজন্য আমরা শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বসতে চাই। উপদেষ্টার পক্ষ থেকে কঠোর বার্তা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছে থাকতে বাধ্য হবেন।’

এ উপাচার্য আরও বলেন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ নিয়ে মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কঠোর ভূমিকা রেখেছিল। ইউজিসিতে দফায় দফায় সভা হয়েছে। তবে অজানা কারণে এবার ইউজিসি নীরব ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের আইনে পরিচালিত হলেও বাজেট বরাদ্দ এবং ছাড় করে ইউজিসি। ফলে ইউজিসি একটু শক্ত অবস্থান নিলে গুচ্ছ থেকে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যেত না।

গুচ্ছ টিকিয়ে রাখতে ইউজিসি কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান দেখছেন। এ বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’

এ বিষয়ে জানতে  অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।