২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:১৮

গুচ্ছের পক্ষে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়, মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনার দাবি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উৎকণ্ঠার শেষ নেই  © ফাইল ছবি

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উৎকণ্ঠার শেষ নেই। অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক চান, গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থাকুক। তবে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে একক পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। একই পথ অনুসরণ করতে চায় আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। যার ফলে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি নিয়ে দেখা গেছে অনিশ্চয়তা। এ অবস্থায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক বৈঠক থেকে জানা গেছে, গুচ্ছের পক্ষেই আছে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে চায়। পাশাপাশি গুচ্ছের কার্যক্রম কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনা দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সভায় এমন নির্দেশনার আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্যরা। রাত ৯টায় ভার্চুয়ালি শুরু হওয়া এ সভা শেষ হয় সাড়ে ১১টার পর।

সভায় গুচ্ছভুক্ত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়াতে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনা চেয়েছে। গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাওয়া চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কঠোর নির্দেশনা পেলে গুচ্ছে ফিরে আসার কথা জানিয়েছে।

সভার বিষয়ে জানতে চাইলে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে মাইগ্রেশন চালু এবং আগামী শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পুনরায় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া চালু করা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস অনেক আগেই শুরু হয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডটার্ম পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় মাইগ্রেশন দিলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে। সেজন্য পুনরায় মাইগ্রেশন চালু না করার পক্ষে উপাচার্যরা মতামত দিয়েছেন।

গুচ্ছ থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘আমরা গুচ্ছে থাকতে চাই। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাওয়া এটাই। খুব দ্রুত আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা করবো। সম্ভব হলে আজ (রবিবার) সভা করতে চাই। এজন্য আমরা যোগাযোগ করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভার পর উপাচার্যরা বসে গুচ্ছের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।

সভার একটি সূত্র জানিয়েছে, জগন্নাথ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে গুচ্ছে ফিরে আসা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে। তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনা পেলে গুচ্ছে থাকার ব্যাপারে ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। শিক্ষার্থী সংখ্যায় এগিয়ে থাকা ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনার পর সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে মতামত দিয়েছেন। বাকি ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ই গুচ্ছে থাকার পক্ষে রয়েছেন।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে গুচ্ছভুক্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ‘প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ই চায় গুচ্ছ থাকুক। তবে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, শিক্ষকদের চাপ, শিক্ষক সমিতির চাপ এবং একদল শিক্ষার্থীর কারণে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে গেছে। বাকিরা যেন থাকে এজন্য আমরা সবাই চেষ্টা করছি।