মেডিকেল ভর্তি আবেদন শুরু কাল, নম্বর কর্তনসহ এবার যত শর্ত
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে। দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সেকেন্ড টাইমের জন্য দু’ভাবে নম্বর কাটার কথা বলা হয়েছে। পাস নম্বর থাকবে ৪০। এ ছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমএন্ডডিসি) কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার আলোকে বিভিন্ন শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এবারের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে বলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। নীতিমালা-২০২৫ অনুযায়ী নির্ধারিত ছকে অনলাইনে ওয়েবসাইটের (http://dgme.teletalk.com.bd) মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এর শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে, লিখিত ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট নম্বর ১০০।
বিষয় ভিত্তিক নম্বর বিভাজন থাকবে জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারন জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ১০। পরীক্ষার সময়কাল ০১ (এক) ঘন্টা। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তর প্রদানের জন্য ০১ (এক) নম্বর প্রদান করা হবে। কোন প্রশ্নের একাধিক উত্তর প্রদান করলে উত্তরটি ভুল বলে গণ্য হবে। প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ (চল্লিশ) নম্বরের কম প্রাপ্তরা দেশে ভর্তি ও বিদেশে এমবিবিএস/সমতুল্য কোর্সে ভর্তির অনুমতির জন্য অকৃতকার্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রমসহ ফল প্রকাশ করা হবে।
এবার পূর্ববর্তী বছরের (২০২৩ সালে) এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৩ এবং পূর্ববর্তী বছরের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে) সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট নম্বর থেকে ৬ নম্বর কেটে মেধা তালিকায় অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীকে ২০২৩ সাল অথবা ২০২৪ সালে এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ২০২১ সালের পূর্বে এসএসসি/‘ও’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। প্রার্থীকে এসএসসি/‘ও’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগসহ অবশ্যই জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন থাকতে হবে।
এসএসসি/‘ও’ লেভেল/সমমান এবং এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে। উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি/‘ও’ লেভেল/সমমান এবং এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষা দুটিতে মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ হতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর কম হলে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
সবার জন্যে এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে (Biology) ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ না থাকলে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। এসএসসি/‘ও’ লেভেল/সমমান ও এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ১০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে নিম্নলিখিতভাবে মূল্যায়ণ করা হবে। সেক্ষেত্রে এসএসসি/‘ও’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০ এবং এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুন হিসাবে সর্বোচ্চ ৫০ নম্বর থাকবে।
এমবিবিএস ভর্তির জন্য অনলাইনে ফরম পূরণের নিয়মাবলি ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েব সাইট www.mefwd.gov.bd, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dgme.gov.bd, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dghs.gov.bd ও টেলিটক বাংলাদেশের ওয়েবসাইট http://dgme.teletalk.com.bd হতে জানা যাবে।
আরো পড়ুন: কৃষিগুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু আজ
এবার অনলাইনে আবেদন শুরুর তারিখ ১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা। আবেদনের শেষ তারিখ ২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট। ২৮ ডিসেম্বর (শনিবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনের ফি জমাদান করা যাবে। প্রবেশ পত্র ডাউনলোড পূর্বক রঙ্গিন প্রিন্ট করার তারিখ ১২ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)। ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ১০টা হতে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার ফি ১ হাজার টাকা শুধু প্রি-পেইড টেলিটকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
যারা ‘ও’ লেভেল/সমমান এবং ‘এ’ লেভেল/ সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের মার্কশীটসমূহ বাংলাদেশে প্রচলিত জিপিএতে রূপান্তর করে Equivalence Certificate সংগ্রহ করার পর অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদেরকে ২ হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডারসহ আবেদন করে Equivalence Certificate সংগ্রহ পূর্বক ID নম্বর নিতে হবে।
বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি পাসপোর্টধারী শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই বিদেশী শিক্ষার্থী হিসাবে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন না। তবে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে, তারা বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করে জাতীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।