২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩

মেডিকেল ভর্তির পাস নম্বর ৪০, পরীক্ষার নম্বর বণ্টন যেভাবে

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে  © ফাইল ছবি

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার নীতিমাল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমএন্ডডিসি)। এবার ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেলে পাস করবেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। মোট ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।

‘মেডিকেল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৫’ শীর্ষক নীতিমালায় ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা, নিয়মসহ বিস্তারিত জানিয়েছে বিএমএন্ডডিসি। এবার সেকেন্ড টাইমে আগের এইচএসসি ও সমমান পাস প্রার্থীদের ৩ এবং মেডিকেলে ভর্তি প্রার্থীদের ৬ নম্বর কেটে মেধা তালিকা করা হবে।

বিএমএন্ডডিসি কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা বাংলাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি ও বিদেশে সমতুল্য কোর্সে ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের অনুমতির ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। কেবল সরকার কর্তৃক বিদেশিদের জন্য সংরক্ষিত সরকারি আসনে এবং বিদেশিদের জন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বা ডেন্টাল ইউনিটে নির্ধারিত কোটায় বিদেশি প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। 

দেশি প্রার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইবে। দুইটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ পয়েন্ট হতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ১০০ নম্বর হিসাবে নির্ধারণ করা হবে। এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং জাতীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।

সদ্য এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ এর সহিত এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। তবে পূর্ববর্তী বৎসরের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর হতে ৩ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বৎসরের সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তিকৃত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট নম্বর হতে ৬ নম্বর কেটে মেধা তালিকায় অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য একই সঙ্গে একই প্রশ্নপত্রে এমবিবিএস কোর্সে জাতীয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হইবে। মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার এক মাস পর সরকারি ও বেসরকারি সকল ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তির জন্য একই সঙ্গে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বিডিএস কোর্সে জাতীয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইংরেজি মাধ্যমে উত্তীর্ণ এবং ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে।

আরো পড়ুন: মেডিকেল ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, সেকেন্ড টাইমে কাটা যাবে ৩ ও ৬ নম্বর

লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট ১০০ (একশত) নম্বরের বিষয়ভিত্তিক বিভাজন যথাক্রমে জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান ১০ হবে। পরীক্ষার সময়কাল এক ঘণ্টা। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম প্রাপ্তরা দেশে ভর্তি ও বিদেশে এমবিবিএস/বিডিএস/সমতুল্য কোর্সে ভর্তির অনুমতির জন্য ‘অকৃতকার্য' বিবেচিত হবে।

শুধুমাত্র লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এর পাশাপাশি সরকার অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজে/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তির জন্য জাতীয় মেধা তালিকা (বিশেষ কোটা যদি থাকে উল্লেখসহ) প্রকাশ করা হইবে। তবে ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বর এর নীচে প্রাপ্ত প্রার্থীরা কোনোভাবেই ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে না।

দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। আবেদন শুরু হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে। আর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ জানুয়ারি। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি আবেদন শুরু ১০ ডিসেম্বর

তিনি জানান, এমবিবিএস ভর্তি আবেদন চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দেশের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আবেদনের ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পাবেন। আর ডেন্টাল কলেজের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

বিস্তারিত নীতিমালা পড়তে এখানে ক্লিক করুন।