ঢাবিতে আবেদনের সুযোগ আর চারদিন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির তারিখ জানা গেল
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদনের সময় বাকি আছে আরও চারদিন। এ ছাড়া আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মেডিকেল, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আট উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এবার তিন গুচ্ছের ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলাদা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে একটি গুচ্ছ ইতিমধ্যে ভেঙে গেছে। বাকি দু’টিও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বুয়েট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৪-২৫ সেশনের স্নাতক ভর্তির প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষা আগামী ২৩ জানুয়ারি গ্রহণ করা হবে। এ পরীক্ষায় মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত আবেদনকারীদের মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হয়ে চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মোবাইল বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আবেদন ফি দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর বেলা ৩টা। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য তিনটি এবং স্থাপত্য বিভাগে একটি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট আসন থাকবে ১ হাজার ৩০৯টি।
মেডিকেল
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে আগামী সোমবার (২৫ নভেম্বর)। ইতিমধ্যে তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১৭ জানুয়ারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। গত ১০ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর আজ শনিবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য মেডিকেল ভর্তির বিজ্ঞপ্তি আগামী ২৫ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে। আর বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে ৮ ডিসেম্বর।
জরুরি কারণ থাকলে এ সময়সীমা একদিন এদিক-সেদিক হতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ১৭ জানুয়ারি মেডিকেল এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরে মূল্যায়ন হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য ৫ নম্বর কর্তনের বিষয়টিতেও পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার ৩ নম্বর কাটা হবে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন এ পরিবর্তন আনার কথা জানান। তিনি বলেন, এবারের পরীক্ষায় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসছে নম্বরের ক্ষেত্রে। আগের মতো এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এর সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসচি বা সমমানের পরীক্ষা থেকে ৫০ করে ১০০ নম্বর নিয়ে ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
এতদিন এইচএসসির ১২৫, এসএসসির ৭৫ নম্বরের সঙ্গে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা- এই ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হতো। এ পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করে মহাপরিচালক বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় এইচএসসির বেশকিছু পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরমধ্যে কেমিস্ট্রি, বায়োলজিসহ কয়েকটি বিষয় রয়েছে। মেডিকেল এডুকেশনের জন্য বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এবার এসএসসির ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে এইচএসসির ওয়েজেস কমিয়ে দেওয়া হবে। তাই ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হবে। এমসিকিউ ঠিক থাকবে। কিছু বিষয়ের যেহেতু পরীক্ষাই হয়নি, তাই সেগুলোর তুলনামূলক গুরুত্ব কিছুটা কমিয়েছি।
অধ্যাপক নাজমুল বলেন, মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতায় মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ব্যবধান দুই বছর থেকে বাড়িয়ে তিন বছর করা হয়েছে। বিষয়টির বাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ২০২১ সালে কেউ এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু কোনো কারণে ২০২৩ সালে পরীক্ষা দিতে পারেনি, ২০২৪ সালে দিয়েছে। আমরা তাদের অ্যালাউ করছি। এজন্য নম্বর কাটা যাবে না। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য এবার ৩ নম্বর কাটা হবে।
পরীক্ষার সময় আগের মতোই এক ঘণ্টা। সিলেবাসও কোনো পরিবর্তন হয়নি। নম্বর বিন্যাস আগের মতোই থাকছে বলে জানান অধ্যাপক মো. নাজমুল হোসেন। আগামী বছরের ১৭ জানুয়ারি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা হবে। আর ডেন্টাল কলেজের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে গত ৪ নভেম্বর থেকে। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ২৭ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এর আগে ২৫ নভেম্বর সময় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে দু’দিন বাড়ানো হয়েছে। এবার আবেদন ফি ১ হাজার ৫০ (এক হাজার পঞ্চাশ) টাকা। তবে আইবিএ’র ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা। ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক বা সমমান এবং ২০২৪ সনের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তির জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে, কেবল তারাই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভর্তি প্রার্থীরা আগামী ২৫ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা কোন ইউনিটে কবে
১. কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট: ২৫ জানুয়ারি (শনিবার)
২. বিজ্ঞান ইউনিট: ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার)
৩. ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট: ৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার)
৪. চারুকলা ইউনিট (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন): ৪ জানুয়ারি (শনিবার )
৫. আইবিএ ইউনিট: ৩ জানুয়ারি (শুক্রবার)
শিক্ষার্থীরা পাঁচটি ইউনিটে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের যোগ্যতাসহ ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লেখ আছে। চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) একই দিনে বিধায় এ ইউনিটের এবং আইবিএ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুধুমাত্র ঢাকা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
বি.দ্র. বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক ও স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন আগামী ৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ১৬ জানুয়ারি ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে। চূড়ান্ত আবেদন ২০ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে সম্পন্ন হবে। ভর্তি পরীক্ষা ‘বি’ ইউনিট ১২ এপ্রিল, ‘এ’ ইউনিট ১৯ এপ্রিল ও ‘সি’ ইউনিট ২৬ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা তিন ইউনিটেই যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী যে ইউনিটেই আবেদন করুক না কেন, সে যে শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, সেই শাখার জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
ভর্তির জন্য ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটে আছে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট। ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটে আছে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট। ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে আছে বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ভূ-বিজ্ঞান, ফিশারীজ এবং ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ।
২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বিএফএ (প্রাক), বাংলাদেশ কারগরী শিক্ষাবোর্ডের আওতায় এইচএসসি ভোকেশনাল এবং ‘এ’ লেভেল সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভর্তির জন্য মানবিক ও বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ মোট জিপিএ ৭.০০ এবং বিজ্ঞান শাখায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে। জিসিই ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় পাঁচটি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় অন্তত দুটো বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় লেভেলে মোট ৭টি বিষয়ের মধ্যে ৪টি বিষয়ে কমপক্ষে ‘বি’ ও ৩টি বিষয়ে কমপক্ষে ‘সি’ গ্রেড পেতে হবে।
ইংরেজি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক প্রার্থীকে চূড়ান্ত আবেদনকালে অবশ্যই ইংরেজি প্রশ্নপত্রের জন্য অতিরিক্ত ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া ইউনিট/বিভাগ/ইনস্টিটিউট কর্তৃক আরোপিত শর্তও প্রযোজ্য হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের এক ঘন্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষায় প্রতি ইউনিটে ৮০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৪০। অনলাইনে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী কোটায় ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও প্রযোজ্য শর্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://admission.ru.ac.bd ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যাবে।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’র (বিইউপি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি বিইউপি থেকে প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৮ নভেম্বর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাচ্ছে, চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। আগামী ২৭ নভেম্বর যোগ্যপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী আর্টস ও সোশ্যাল সায়েন্স অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
একই দিনই বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা এবং বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এ ভর্তি পরীক্ষা (লিখিত-এমসিকিউ) শুধুমাত্র ঢাকায় বিইউপির ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষার মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ভর্তি হতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের নিকট হতে অনলাইনে আবেদনপত্র আহবান করেছে কর্তৃপক্ষ। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদসমূহে ১৬টি বিভাগে এক হাজার ৬৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
প্রথমবর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্স ভর্তি কমিটির সভাপতি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর আবেদন শুরু হবে। এবার ভর্তি পরীক্ষার ফি যথাক্রমে ১১শ ও ১২শ টাকা।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত বৈধ আবেদনপত্রের মধ্য থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও ইংরেজী-এ চার বিষয়ে প্রাপ্ত মোট গ্রেড পয়েন্টের ভিত্তিতে একটি মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। প্রার্থী সংখ্যা বেশি হলে এ তালিকা থেকে ২০ হাজার জন প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে। তবে ২০ হাজারতম প্রার্থী একাধিক হলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যথাক্রমে গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও ইংরেজীতে প্রাপ্ত থ্রেডের ভিত্তিতে ন্যূনতম সংখ্যক প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে ।
ভর্তি সংক্রান্ত সময়সূচী:
আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ ও Submission শুরু: ৪ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল ১০টা।
আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ ও Submission শেষ: ১৪ ডিসেম্বর (শনিবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট।
টাকা জমা দেয়ার শেষ সময়: ১৫ ডিসেম্বর (রোববার) বিকাল ৫টা।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর (সোমবার)।
ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময়: ১১ জানুয়ারী (শনিবার) সকাল সাড়ে ৯টা হতে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। মুক্তহস্ত অংকন বেলা ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মেধাক্রমের তালিকা প্রকাশ, বিভাগ পছন্দ প্রদানের নির্দেশনা, ভর্তির নিয়মাবলী ও ভর্তির তারিখ ঘোষণা: ২৬ জানুয়ারি (রোববার)।
আর্কিটেকচারে ৫ বছর মেয়াদী এবং অন্যান্য সকল বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক ডিগ্রী প্রদান করা হয়। ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও ভর্তি পরীক্ষার ফি প্রদান করে Submit করতে হবে। এবার ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইউআরপির ভর্তি পরীক্ষার ফি ১ হাজার ১০০ টাকা। আর ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউআরপি ও আর্কিটেকচারের ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে যে পাঠ্যসূচী ছিল প্রধানতঃ তার ওপর এবং Functional English-এর ওপর ভিত্তি করে ৩ ঘন্টাব্যাপী সর্বমোট ৫০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম বর্ষ বিএসসি. ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিমার্ক কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা একই প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে। বিআর্ক কোর্সে ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের এমসিকিউ পরীক্ষা ছাড়াও ১ ঘন্টার ১০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অংকন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্যাবলী admission.kuet.ac.bd ওয়েবসাইট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে পাওয়া যাবে।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) প্রকৌশল গুচ্ছে থাকবে না বলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কুয়েট এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার ঘোষণা দেওয়ায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে (চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে রুয়েটের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা হয়।
অধিক সংখ্যক ভর্তিচ্ছুদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি এবং ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে কুয়েট ও চুয়েটের সঙ্গে আলোচনা চলমান রাখার বিষয়ে রুয়েটে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার চূড়ান্ত ইচ্ছা ব্যক্ত করলে রুয়েট স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করবে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বতন্ত্রভাবে স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা কেবল রাজশাহীতেই পরীক্ষা কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ১৩ নভেম্বর রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরিফ আহমাদ চৌধুরী বলেন, কুয়েট বেরিয়ে যাওয়ায় প্রকৌশল গুচ্ছ আর থাকছে না। ফলে একক ভর্তি পরীক্ষা হলে শুধু রাজশাহীতেই ভর্তি পরীক্ষা নেবে রুয়েট।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আমরা ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। আগামী ২৬ নভেম্বরের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি সোমবার বলেন, ‘২৬ নভেম্বর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা হতে পারে। সেদিন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
দীর্ঘ চার বছর পর ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ২০২১-২০২২ সালে এসএসসি ও ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই শুধু আবেদন করতে পারবে। অর্থাৎ সেকেন্ড টাইমারদের ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ থাকছে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩১ জানুয়ারি ‘ই’ ইউনিট চারুকলা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিট সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিট কলা অনুষদ, ২২ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিট বিজ্ঞান অনুষদ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘সি’ ইউনিট বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শেষ হবে।
আগামী ১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ দুপুর ১২ টা হতে ১৫ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে। প্রাথমিক আবেদন ফি ১০০ টাকা। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্যে হতে মেধাক্রম অনুসারে ১ থেকে ৪০ হাজার তম আবেদনকারীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে।
যে সব আবেদনকারী প্রাথমিক বাছাইয়ে নির্বাচিত হবে তাদেরকে ৭০০ টাকা প্রদান করে পরীক্ষার এডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। এছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য, আবেদন করার নিয়ম, আবেদন ফি, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (https://admission.jnu.ac.bd) এ ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ (স্নাতক) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ মার্চ ‘এ’ ইউনিটের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে শেষ হবে ২২ মার্চ। এবারও চট্টগ্রামের বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চবি ক্যাম্পাসে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি।
গত বুধবার (২০ নভেম্বর) ভর্তি কমিটি মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এবার বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা পহেলা মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে। এবার সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতবছর সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করা হয়েছিলো তবে, এবার আমরা তা কমিয়ে ৩ করেছি।
এ ছাড়া বি-২ নামে নতুন একটি উপ-ইউনিট করা হয়েছে। এখান আছে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ও আরবি সাহিত্য। অনেক সময় দেখা যায় এখানে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা আরবি পড়তেই জানেননা। এজন্য তাদের কথা বিবেচনা করে এ নতুন ইউনিট করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা যেহেতু রমজানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাই আমরা সময়টা পরিবর্তন করেছি। এখন শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন দুপুর ১২টায় তাদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে এবং দুপুর ১টায় তাদের পরীক্ষা শেষ হবে। আমরা এবার সুন্দরভাবে আমাদের ভর্তি পরীক্ষা শেষ করতে পারবো বলে আশা রাখছি।
‘এ’ ইউনিট: বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের অধীনে রয়েছে চারটি অনুষদ। এগুলো হলো বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদ। এই চার অনুষদে মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ২১৫টি।
‘বি’ ইউনিট: কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ২২১টি। তবে এবার বি-১ উপ-ইউনিটের পাশাপাশি নতুন বি-২ উপ- ইউনিটে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বি-২ উপ-ইউনিটে যে দুটি বিভাগকে রাখা হয়েছে তা হলো ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি সাহিত্য। অন্যদিকে ‘বি-১’ উপ-ইউনিট (চারুকলা, নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ নিয়ে গঠিত) আসন রয়েছে ১২৫টি।
‘সি’ ইউনিট: ব্যবসা প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ৬৪০টি।
‘ডি’ ইউনিট: সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ৯৫৮টি। অন্যদিকে ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটে আসন ৩০টি।
পরীক্ষার সূচি: আগামী ১ মার্চ ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে ভর্তি পরীক্ষা। ৮ মার্চ ‘বি’ ইউনিট, ১৫ মার্চ ‘সি’ ইউনিট এবং ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা। এছাড়া ‘বি-১’ উপ-ইউনিট, বি-২ উপ-ইউনিট ও ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে দ্রুতই জানানো হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রথম ও প্রাথমিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভর্তি সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক সূত্র। তবে চলতি মাসের শেষে সপ্তাহে পরবর্তী সভায় ভর্তি পরীক্ষার দিনক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান বলেন, ভর্তি কমিটির প্রাথমিক সভা হয়েছে। কিন্তু সভায় ভর্তি পরীক্ষা কবে, কীভাবে নেওয়া হবে এসব বিষয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ২৪ নভেম্বর আবার ভর্তি কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। আশা করা যায়, সেই সভায় কিছু একটা সিদ্ধান্ত আসবে।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, এটি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কমিটির প্রথম সভা ছিল। প্রতিবারেই এরকম সভা হয়। সেখানে ভর্তি কমিটির সদস্যরা তাদের নতুন পরিকল্পনা বা বিভিন্ন প্রস্তাবনা পেশ করে থাকেন। আজকের সভায়ও সেরকম আলোচনা হয়েছে তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পরবর্তী সভায় ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কিত কিছু কনক্রিট সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতিতে ফেরার দাবি তুলেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্কুলের ডিন ও ডিসিপ্লিন প্রধানরা। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তারা এ দাবি তোলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
সভায় বক্তারা বলেন, গুচ্ছ একটি জটিল, অস্বচ্ছ ও বৈষম্যমূলক পদ্ধতি। এ পদ্ধতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তার স্বকীয়তা হারাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একক একাডেমিক ক্যালেন্ডারে পরিচালিত হতে পারছে না। প্রতিটি শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের টার্মের সময় সংকুচিত করতে হচ্ছে ও অন্যান্য টার্মের সময় বাড়াতে হচ্ছে, যা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অর্ডিন্যান্সের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিতকরণে বাধা সৃষ্টি করছে।
এর কারণে একই সেশনে পাঁচটি ব্যাচের ক্লাস থাকায় প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে এবং শিক্ষক সংকট ও অবকাঠামো সংকটের প্রেক্ষাপটে সমস্যা ঘনীভূত হচ্ছে। বাড়তি ব্যাচ থাকার কারণে শিক্ষকদের কাজের চাপ বাড়ছে জানিয়ে তারা বলেন, টার্ম ব্রেক না থাকায় তাদের প্রফেশনালস, রিসার্চ ও ব্যক্তিগত প্ল্যান ব্যাহত হচ্ছে। এর পাশাপাশি গুচ্ছের কারণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত ওবিই কারিকুলার সঠিক বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
তারা আরো বলেন, এ পদ্ধতির কারণে নিজস্ব প্রশ্ন কাঠামোতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না বলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের যাচাইয়ের সুযোগ কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা প্রতিটি ব্যাচে সিট ফাঁকা থাকছে, যার হার পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈচিত্র্যতা কমছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের অন্যতম দাবি গুচ্ছপদ্ধতির বিলোপ। তাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্বতা ধরে রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন রেখে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে এসে এককভাবে নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের উদ্যোগ নিতে উপাচার্যের প্রতি দাবি জানান শিক্ষকরা।
উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সুনাম রয়েছে। এই সুনাম ও ভাবমূর্তি আমাদের ধরে রাখতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলবে। শিক্ষার্থীরা ইতোপূর্বে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার দাবি তুলেছে। আজ শিক্ষকরাও একই দাবি করলেন। আমিও এই দাবির প্রতি সমর্থন রেখে গুচ্ছপদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরতে চাই। শিগগিরই গুচ্ছ কমিটি ও ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করে ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।
মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে ভর্তির পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন অনুষদে ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। ১০ নভেম্বর শুরু হওয়া আবেদন শেষ হবে ১ ডিসেম্বর। এবারও সেকেন্ড টাইম ও নেগেটিভ মার্কিং রাখা হয়েছে।
পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুধুমাত্র নৈর্ব্যত্তিক পদ্ধতিতে। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে ক্লাস শুরুর সম্ভব্য তারিখ ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি অনুষদের অধীনে পাঁচটি বিভাগে ২০০ আসনের জন্য এই ভর্তি পরীক্ষা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। আগ্রহীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০ টাকা। ২০২১ অথবা ২০২২ সালে মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কেবল সে সকল শিক্ষার্থী নির্ধারিত ফরমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
এমআইএসটি
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতকের ভর্তি পরীক্ষা আগামী বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। গত বুধবার (২০ নভেম্বর) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে, আবেদন করা যাবে আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে। ২২ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষা কত নম্বরে: ‘এ’ ইউনিটের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচারে গণিতে ৯০, পদার্থে ৭০, রসায়নে ৩০ ও ইংরেজিতে ১০—মোট ২০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। আর ‘বি’ ইউনিটের আর্কিটেকচারে অঙ্কন ও আর্কিটেকচার সম্পৃক্ত বিষয়ে ২০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদন ফি: ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তিতে আবেদন ফি ১০০০ টাকা। আর আর্কিটেকচারে আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী বছরের ৭ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এবার আবেদনের জন্য এসএসসিতে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০, এইচএসসিতে ৪.৫০ এবং এইচএসসিতে গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ে সর্বমোট কমপক্ষে ১৮.৫০ গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে প্রকাশ হবে বলে জানা যায়।
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরাও থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অন্তত তিন থেকে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যেতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। ফলে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ থাকছে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও দ্বিধায় রয়েছেন অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যরা।
আরো পড়ুন: মেডিকেল ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিনক্ষণ জানা গেল
সূত্র জানায়, গুচ্ছের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র একটিতে আগের সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া উপাচার্য রয়েছেন। বাকি সবাই নতুন হওয়ায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে খুব বেশি ধারণা নেই। এরই মধ্যে নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও গুচ্ছের বিষয়ে এখনও কোনও সভায় বসেনি কর্তৃপক্ষ। ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি গুচ্ছ
কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত প্রার্থীদের প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন পরিষদও গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। ফলে কৃষি গুচ্ছ থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে পরিষদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আহবায়ক অধ্যাপক মো. গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, তারা আলাদা ভর্তি পরীক্ষা চালু করবেন। শিক্ষাবিষয়ক পরিষদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।