অসঙ্গতির পর চবির ২ ইউনিটের সংশোধিত ফল প্রকাশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের প্রকাশিত ফলাফলে অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় সংশোধিত ফল প্রকাশিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তবে ২টি ইউনিটে পাস-ফেলের কোনো পরিবর্তন হয়নি। যশোর বোর্ডের অধীনে থাকা ২৭৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জিপিএ নম্বর যোগের ক্ষেত্রে ভুল করায় ফলাফলে এমন অসঙ্গতি দেখা যায়।
পরে ২৪ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটি সভা করে ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
‘এ’ ইউনিট ভর্তি কমিটির কো-অর্ডিনেটর ও জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘যশোর বোর্ডের অধীনে থাকা ২৭৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জিপিএ নম্বর যোগের ক্ষেত্রে ভুল করায় ফলাফলে অসঙ্গতি দেখা যায়। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটের ২২৫ জন রয়েছে। পরে আমরা ফলাফল সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিই। এছাড়া অন্য কোনো বোর্ডে এ ধরনের সমস্যা আছে কিনা তাও আমরা যাচাই করি। সেসব বোর্ডে ত্রুটি পাওয়া যায়নি।’
আরও পড়ুন: ভর্তিযুদ্ধ শেষে স্নায়ুযুদ্ধে ভর্তিচ্ছুরা
তিনি বলেন, ‘ফলাফল সংশোধন হলেও পাস ফেল আগের মতই। শুধুমাত্র মেধাক্রমটা পরিবর্তন হয়েছে। তাও খুব বেশি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক ড. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছিল। যে কারণে ফলাফলে ত্রুটি দেখা যায়। তবে তা সমাধান করে সংশোধিত ফল দেওয়া হয়েছে। অন্যসব বোর্ডের ফলাফলে কোনো সমস্যা নেই। যারা যশোর বোর্ডের ছিল, শুধু তাদের জিপিএ’র শেষ ডিজিট মিসিং থাকায় ফলাফল এমন ত্রুটি দেখা যায়। আমরা দ্রুত তা সমাধান করে ফেলেছি।’
এর আগে গত ২০ আগস্ট বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এর একদিন পর যশোর বোর্ডের জিপিএ নম্বরের ক্ষেত্রে এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এর তিন ডিজিটের শেষ ডিজিট গণনা করা হয়নি বলে ‘এ’ ইউনিটের এক ভর্তিচ্ছু ছাত্র অভিযোগ করেছেন৷ পরবর্তীতে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে ২ ইউনিটে একই অসঙ্গতির প্রমাণ মিলে। এ ২ ইউনিটের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ২২৫ জন ও ‘সি’ ইউনিটে ৫১ জন মিলে মোট ২৭৬ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর ফলাফলে এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি সেলের পরিচালক।
গত ২০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৩৮.৬৮ শতাংশ অর্থাৎ ১৩ হাজার ৫৬৯ জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে । ফেল করেছে ১৯ হাজার ৫৮০ জন।
‘সি’ ইউনিটে পাস করেছেন ২ হাজার ২৬৪ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৯ হাজার ২২২ জন। শতকরা হিসেবে পাসের হার ২৪.৫৫ শতাংশ। ফেল করেছেন ৬ হাজার ৯৫৮ জন শিক্ষার্থী।