চবি ভর্তির খুটিনাটি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৫ জন শিক্ষার্থী। ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সেই অনুযায়ী এক আসনে লড়বেন ২৯ জন।
ইউনিট ভিত্তিক পরীক্ষার নির্ধারিত সময়সূচি
‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৬ ও ১৭ আগস্ট, ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৯ আগস্ট, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ২০ ও ২১ আগস্ট, ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা ২২ ও ২৩ আগস্ট। এবারে এ, বি এবং ডি ইউনিটের পরীক্ষা দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফট শুরু হবে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। দ্বিতীয় শিফট শুরু হবে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে।
‘বি ১’ উপ ইউনিটের পরীক্ষা ২৪ আগস্ট সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট এবং ‘ডি ১’ উপ ইউনিটের পরীক্ষা ২৫ আগস্ট দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে হবে।
কোন ইউনিটে কতজন?
চবিতে এবারও চারটি ইউনিট ও দুটি উপ–ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে৷
চারটি ইউনিট
‘এ’ এই ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ২১২টি। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ১০৫ জন। এই ইউনিটে এক আসনের বিপরীতে প্রার্থী ৪৪ জন। পরীক্ষা হবে ১৬ ও ১৭ আগস্ট।
‘বি’ এই ইউনিটের আসনসংখ্যা ১ হাজার ২২১। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭৭৯ জন। এই ইউনিটে একটি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন। পরীক্ষা হবে ২০ ও ২১ আগস্ট।
‘সি’ ইউনিটে আসন রয়েছে ৪৪১টি। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ হাজার ৬০ জন। এই ইউনিটে এক আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন ২৫ জন। পরীক্ষা হবে ১৯ আগস্ট।
‘ডি’ ইউনিটের আসনসংখ্যা ১ হাজার ১৬০। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৯ হাজার ৩৯১ জন। এই ইউনিটে এক আসনের বিপরীতে প্রার্থী আছেন ৩৪ জন। পরীক্ষা হবে ২২ ও ২৩ আগস্ট।
দুটি উপ–ইউনিট
এছাড়া ‘বি-১’ উপ-ইউনিটে আসন রয়েছে ১২৫টি। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৭৯ জন। এই উপ–ইউনিটে এক আসনের বিপরীতে প্রার্থীর সংখ্যা ১২.৬৩ জন। পরীক্ষা হবে ২৪ আগস্ট।
‘ডি-১’ উপ-ইউনিটে আসনসংখ্যা ৩০। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮১১ জন। এই উপ–ইউনিটে এক আসনের বিপরীতে প্রার্থী ৬০ জন। পরীক্ষা হবে ২৫ আগস্ট।
বিভাগভিত্তিক আসন সংখ্যা
এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ১ হাজার ২১২টি, ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি, ‘সি’ ইউনিটে ৪৪১টি, ‘ডি’ ইউনিটে ১ হাজার ১৬০টি, বি-১ উপ-ইউনিটে ১২৫ টি ও ডি-১ উপ-ইউনিটে ৩০টি আসন আছে। দেখে নেওয়া যাক, কোন বিভাগে কতটি আসন রয়েছে।
‘এ’ ইউনিট
এই ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলোর মধ্যে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগে রয়েছে ১১০টি করে আসন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০০টি করে আসন রয়েছে প্রাণিবিদ্যা ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে। এছাড়া কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ৬৫টি, ট্রিপলই বিভাগে ৫৫টি ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে আসন রয়েছে ৫০টি।
৪০টি করে আসন রয়েছে প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ, মাইক্রোবায়োলজি, ফরেস্ট্রি, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস, ওশানোগ্রফী ও ফিশারিজ বিভাগে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি এবং পরিবেশবিজ্ঞানে রয়েছে ৩৫টি করে আসন। ৩০টি করে আসন রয়েছে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল এবং ফার্মেসি বিভাগে। আর মনোবিজ্ঞান বিভাগে আসন রয়েছে ২২টি।
‘বি’ ইউনিট
‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলোর মধ্যে দর্শন, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে রয়েছে ১২০টি করে আসন। ১১০টি করে আসন রয়েছে বাংলা ও ইংরেজি বিভাগে। ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে (আইইআর) রয়েছে ১০৫টি আসন।
এছাড়া পালি বিভাগে ৮৫টি, সংস্কৃত বিভাগে রয়েছে ৭০টি আসন। ৫০টি করে আসন রয়েছে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগে। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে রয়েছে ৪১টি আসন। এর বাইরে বি-১ উপ-ইউনিটে নাট্যকলা ৩৫টি, সংগীতে ৩০টি ও চারুকলায় ৬০টি আসন রয়েছে।
‘সি’ ইউনিট
‘সি’ ইউনিটেন অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলোর মধ্যে অ্যাকাউন্টিংয়ে ৮৭টি, ম্যানেজমেন্টে ৬৫টি, ফাইন্যান্সে ৯৫টি, মার্কেটিংয়ে ৭৭টি, ব্যাংকি অ্যান্ড ইনস্যুরেন্সে ৬৭টি এবং হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে ৫০টি আসন রয়েছে।
‘ডি’ ইউনিট
এদিকে, ‘ডি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলোর মধ্যে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সব বিভাগ, আইন অনুষদের আইন বিভাগ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সব বিভাগ (উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান/মানবিক শাখা) এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগ (উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিক শাখা)। এই বিভাগগুলোতে আসন সংখ্যা মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া আছে।
বিভাগভিত্তিক আসন সংখ্যা
অর্থনীতি (মানবিক ৪০টি, বিজ্ঞান ৬৬টি ও ব্যবসায় ২৬টি মিলিয়ে ১৩২টি), রাজনীতি বিজ্ঞান (মানবিক ৫৩টি, বিজ্ঞান ৫৩টি ও ব্যবসায় ২৬টি মিলিয়ে ১৩২টি), সমাজতত্ত্ব (মানবিক ৫৩টি, বিজ্ঞান ৫৩টি ও ব্যবসায় ২৬টি মিলিয়ে ১৩২টি), লোকপ্রশাসন (মানবিক ৫৩টি, বিজ্ঞান ৫৩টি ও ব্যবসায় ২৬টি মিলিয়ে ১৩২টি), নৃবিজ্ঞান (মানবিক ৩৪টি, বিজ্ঞান ৩৪টি ও ব্যবসায় ১৭টি মিলিয়ে ৮৫টি), আন্তর্জাতিক সস্পর্ক (মানবিক ৩৪টি, বিজ্ঞান ৩৪টি ও ব্যবসায় ১৭টি মিলিয়ে ৮৫টি), যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা (মানবিক ২৪টি, বিজ্ঞান ২৪টি ও ব্যবসায় ১২টি মিলিয়ে ৬০টি), ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (মানবিক ১২টি, বিজ্ঞান ১২টি ও ব্যবসায় ৬টি মিলিয়ে ৩০টি), ক্রিমিনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স (মানবিক ১২টি, বিজ্ঞান ১২টি ও ব্যবসায় ৬টি মিলিয়ে মোট ৩০টি আসন)।
এই ইউনিটে আইন বিভাগের ১১৫টি আসন সবার জন্য উন্মুক্ত। বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে অ্যাকাউন্টিংয়ে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ২০টি ও মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি, ম্যানেজমেন্টে বিজ্ঞান শাখার জন্য ৪০টি ও মানবিক শাখার জন্য পাঁচটি, ফাইন্যান্সে বিজ্ঞান শাখার জন্য ১০টি ও মানবিক শাখার জন্য পাঁচটি, মার্কেটিংয়ে বিজ্ঞান শাখার জন্য ৩০টি ও মানবিক শাখার জন্য তিনটি, ব্যাংকি অ্যন্ড ইনস্যুরেন্সে বিজ্ঞান শাখার জন্য ৩০টি ও মানবিক শাখার জন্য তিনটি, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪৭টি ও মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি আসন রয়েছে। এর বাইরে মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যায় ১০টি ও মনোবিজ্ঞানে ১৮টি আসন রয়েছে।
প্রবেশপত্র ডাউনলোডের তারিখ
এ ইউনিট: ০১ আগস্ট ২০২২ তারিখ থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর ০১ ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত।
সি ইউনিট: ০৪ আগস্ট ২০২২ তারিখ থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর ০১ ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত ।
বি ইউনিট: ০৫ আগস্ট ২০২২ তারিখ থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর ০১ মন্টা পূর্ব পর্যন্ত ।
ডি ইউনিট: ০৭ আগস্ট ২০২২ তারিখ থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর ০১ মনটা পূর্ব পর্যন্ত।
বি১ উপ-ইউনিট: এই উপ-ইউনিটের প্রবেশপত্র ০৯ আগস্ট ২০২২ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরুর ০১ ঘন্টা পূর্ব পর্যস্ত।
ডি১ উপ-ইউনিট: ০৯ আগস্ট ২০২২ তারিখ থেকে সংশ্লিষ্ট উপ-ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর ০১ ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত।
চবি’র ভর্তির ওয়েবসাইটের (https://admission.cu.ac.bd) মাধ্যমে অনলাইনে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে হবে। এ ছাড়া জিপিএ এর ভিত্তিতে ২০ নম্বর থাকবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতির এই ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০।