জাবির ভর্তিযুদ্ধে বৈষম্য চরমে: এক শিফটে ১৪৫, অন্য শিফটে ৭
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিফট বৈষম্য এবারও চরমে। ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা হলেও একসঙ্গে ফল প্রকাশ হওয়ায় প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে শুরু থেকেই। সর্বশেষ ৩ আগস্ট ‘এ’ ইউনিটের ফলে এক শিফট থেকে ১৪৫ জন এবং অন্য শিফট থেকে মাত্র ৭ জন চান্স পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভর্তিচ্ছুরা বলছেন, শিফট পদ্ধতিতে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিলেও ফলাফল একসঙ্গে প্রকাশিত হয়। এতে করে দেখা যায় যেকোনো একটি শিফট থেকে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে অথবা যেকোনো একটি শিফট থেকে মেধাতালিকায় শীর্ষদের অবস্থান বেশি। ভিন্ন প্রশ্নের কারণে প্রশ্নপত্রের মান একই থাকছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ হয়। প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, সর্বমোট সাতটি শিফটে অনুষ্ঠিত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৪৬৬টি আসনের মধ্যে দ্বিতীয় শিফট থেকে মেধা তালিকায় স্হান পেয়েছে সর্বোচ্চ ১৪৫ জন, যা মোট আসনের ৩১.১২ শতাংশ। অন্যদিকে ৬ষ্ঠ শিফটে সর্বনিম্ন মেধা তালিকায় স্হান পেয়েছে মাত্র সাত জন, যা মোট আসনের মাত্র ১.৫ শতাংশ। এছাড়া প্রথম শিফট থেকে ৯২ জন, তৃতীয় শিফট থেকে ৩৮, চতুর্থ শিফট থেকে ৩০ জন, পঞ্চম শিফট থেকে ১১৮ জন ও সপ্তম শিফট থেকে ৩৬ জন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত 'বি' ইউনিটের (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ) ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট ৫টি শিফটে অনুষ্ঠিত 'বি' ইউনিটের পরীক্ষায় ৩৮৬ টি আসনের মধ্যে শুধু ৫ম শিফট থেকেই মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে সর্বোচ্চ ১৭৫ জন, যা মোট আসনের ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে প্রথম শিফটে মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন মাত্র ৩৪ জন, যা মোট আসনের ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। এ ছাড়া দ্বিতীয় শিফটে ৫৮ জন, তৃতীয় শিফটে ৫১ ও চতুর্থ শিফটে ৬৭ জন মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন। তাদের মধ্যে শুধু ৫ম শিফটে মেধাতালিকায় শীর্ষ ২০ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দেখা গেছে। সেখানে প্রথম ২০ জনের মধ্যে মেয়েদের তালিকায় ১১ জন এবং ছেলেদের তালিকায় ১৩ জন রয়েছেন।
এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, আমরা এটি কমানোর চেষ্টা করছি। আগামীতে শিফট কমিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নেব।