রাবির ভর্তিযুদ্ধ: প্রক্সিদাতা কারাগারে যাওয়ার পরও প্রথম হলেন সেই তানভীর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি ভাড়া নেওয়া সেই তানভীর ‘এ’ ইউনিটের গ্রুপ-২-এ প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। বুধবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রক্সি ধরা পড়ার পরও তাকে কীভাবে প্রথম স্থানে রাখল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, এ নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ২০২১-২২ সেশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে স্ব স্ব রোল দিয়ে ফলাফল জানা যাচ্ছে। একইভাবে ভর্তি রোল ৩৯৫৩৪ দিয়ে ‘এ’ ইউনিটের সার্চ করলে তানভীর আহমেদকে গ্রুপ-২ এ প্রথম অবস্থানে দেখা যাচ্ছে।
তবে গত ২৬ জুলাই ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় গ্রুপ-২ এ তানভীর আহমেদের বদলে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়েজিদ খান নামের এক শিক্ষার্থী। পরে প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞেসাবাদ শেষে নিজের দোষ স্বীকার করলে এক বছরের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা সমন্বয়ক ও ডিনদের ডেকেছি। আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
আরো পড়ুন: রাবির ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাশের হার ৪০.৯৩ শতাংশ
এর আগে, গত ২৬ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি কাণ্ডে পাঁচজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. এখলাসুর রহমান। তিনি ভর্তি পরীক্ষার রোল ১৭২২৮ এর পরীক্ষার্থী লিমনের হয়ে প্রক্সি দেন।
অন্যজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মেহজাবিন ভর্তি পরীক্ষা রোল ৬২৮২৮ এর পরীক্ষার্থী মোসা. ইশরাত জাহানের হয়ে প্রক্সি দেন। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী বায়েজিদ খান ভর্তি পরীক্ষা রোল ৩৯৫৩৪ এর পরীক্ষার্থী তানভির আহমেদের হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে দণ্ডিত হয়েছেন।