৩০ জুলাই ২০২২, ১৩:২৪

ভিন্ন কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে জবিতে

অন্য কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা লাইন ধরে জবির কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন  © টিডিসি ফটো

দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের অন্যান্য কেন্দ্রের মত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল। এদিন অন্য কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী ভুলবশত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসলে মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের পরীক্ষাও বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। 

এদিকে  সার্বিক শৃঙখলা রক্ষায় তৎপর ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশেপাশে মোতায়েন ছিল পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য। একই সাথে  বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় সচেষ্ট ছিল। 

পরীক্ষা ১২টায় শুরু হলেও শনিবার সকাল ৯টা থেকেই ভর্তিচ্ছুরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট, দ্বিতীয় গেইট, তৃতীয় গেইট এবং পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের গেইট দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশেএ সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রবেশপথের পাশেই  স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সহায়তা ডেস্ক ছিল। যেখান থেকে ভর্তিচ্ছুরা পরীক্ষা রুম ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছে।

আরও পড়ুন: গুচ্ছের ‘ক’ ইউনিটের প্রশ্ন দেখুন এখানে

এদিকে ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে পুরান ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে চিঠি দেওয়া হলেও তার তেমন কার্যকারিতা চোখে পড়েনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে ও আশেপাশের এলাকায় যানজট ছিল। যাতে করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তি হয় কেন্দ্রে পৌঁছাতে। 

এদিকে ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে চলে আসা ৮০ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্যাম্পাসেই। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি রুমে সেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থাপনায়। তবে এবছর বিশেষ কোটার কোন শিক্ষার্থী মেডিকেল সেন্টারে পরীক্ষা দেয়নি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি৷ যেসব শিক্ষার্থী ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসছে তাদের পরীক্ষাও নেয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মহিউদ্দিন বলেন, বেশ কিছু পরীক্ষার্থী ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে এসেছে। মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের তাদের পরীক্ষা ক্যাম্পাসেই নেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা হচ্ছে।