জাবিতে এবারও থাকছে ‘বিতর্কিত’ শিফট পদ্ধতি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩১ জুলাই থেকে শুরু হবে। আগামী ৪ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই ভর্তি পরীক্ষা। তবে, এবারও ভর্তি পরীক্ষা হবে ‘বিতর্কিত’ শিফট পদ্ধতিতে।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে জাবির কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আবু হাসান এই তথ্য জানিয়েছেন।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার বলেন, এসএসসি পরীক্ষা বিবেচনায় জাবির ভর্তি পরীক্ষার মূল তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলে তো আমাদের ধারণক্ষমতা কমে যায়। এসব চিন্তা করেই জাবির ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এবারও শিফট পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জাবির গত কয়েক বছরের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কোনো এক শিফটের ভর্তি পরীক্ষার্থীরা মেধা তালিকায় বেশি স্থান পায়। পিছিয়ে থাকেন অন্য শিফটের পরীক্ষার্থীরা।
গত বছর ‘বি’ ইউনিটের ৩২৬ আসনের ২১৭ জন মেধা তালিকায় এসেছে পঞ্চম শিফটের পরীক্ষার্থীরা, যা মোট আসনের ৬৭ শতাংশ। অন্যদিকে দ্বিতীয় শিফট থেকে তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন মাত্র ১২ জন।
আরও পড়ুন: কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
একই বছর ‘ডি’ ইউনিটের ৩২০ আসনের মধ্যে ১০৪ জন মেধা তালিকায় এসেছে পঞ্চম শিফট থেকে। অন্যদিকে তৃতীয় শিফট থেকে স্থান পেয়েছিলেন মাত্র ১ জন।
এছাড়া, ‘বি’ ইউনিটের আলাদাভাবে প্রকাশিত মেয়েদের মেধা তালিকায় শীর্ষ ১০ জনের ৯ জনই ছিলেন পঞ্চম শিফটের পরীক্ষার্থী। ছেলেদের মেধা তালিকাতেও শীর্ষ ১০ জনের ৯ জন পঞ্চম শিফটের ছিলেন।
‘বিতর্কিত’ শিফট পদ্ধতি নিয়ে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সদ্য সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমরা অনেকবার বলেছি শিফট পদ্ধতি বাদ দিয়ে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে। বিদ্যমান শিফট পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়।
এদিকে জাবির ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তীতে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া পরীক্ষার পূর্বে বিস্তারিত তথ্য ও সিটপ্ল্যান juniv-admission.org ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, এবার জাবির ‘এ’ ইউনিটে ৪৬৬ আসনের বিপরীতে ৭৬ হাজার ৩৭৯ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৩৮৬ আসনের বিপরীতে ৪৮ হাজার ৩৪৭ জন, ‘সি’ ইউনিটে ৪৬৭ আসনের বিপরীতে ৫৩ হাজার ৪৩০ জন, ‘ডি’ ইউনিটে ৩২০ আসনের বিপরীতে ৮৭ হাজার ৭২৮ জন ও ‘ই’ ইউনিটে ২৫০ আসনের বিপরীতে ১৮ হাজার ৭২১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।
এবার বিশ্ববিদ্যালয়টির গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) মিলে ‘এ’ ইউনিট; সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদ মিলে ‘বি’ ইউনিট; কলা ও মানবিক অনুষদ, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, চারুকলা বিভাগ এবং বঙ্গবন্ধু ও তুলনামূলক সাহিত্য সংস্কৃতি ইন্সটিটিউট মিলে ‘সি’ ইউনিট; জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ইউনিট এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) মিলে ‘ই’ ইউনিটের অধীনে পাঁচ অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।