১৫ জুলাই ২০২২, ১১:৪০

‘এসএসসি পরীক্ষা বিবেচনায় জাবির ভর্তি পরীক্ষার মূল তারিখ’

জাবি   © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এবার এক হাজার ৮৮৯টি আসনের বিপরীতে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৬০৫ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। সেই হিসাবে জাবিতে এবার ১৫০ জন ভর্তিচ্ছু আসনপ্রতি লড়বেন। 

এদিকে ভর্তি আবেদন শেষে গত ২৩ জুন থেকে জাবির প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তি আবেদনের সময়ে প্রাপ্ত রোল নম্বরের মাধ্যমে যেকোনো সময়েই প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারছেন। তবে প্রবেশপত্র ডাউনলোডে নির্ধারিত সময়সীমা নেই। এদিকে জাবিতে ভর্তিচ্ছুদের রোল নম্বর অনুযায়ী তাদের আসনবিন্যাস নির্ধারণ করা হবে। তবে এখনো ভর্তি পরীক্ষার মূল তারিখ জানাননি জাবির ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। 

এ ব্যাপারে জাবির কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আবু হাসান জানিয়েছেন, জাবির ভর্তি পরীক্ষার সময়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের উপাচার্য শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমিও উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। উনারা কনফিউশনে রয়েছেন। এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলে তো আমাদের ধারণক্ষমতা কমে যায়। এসব চিন্তা করেই জাবির ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। 

এদিকে জাবির ভর্তি পরীক্ষার ক্যাপাসিটি বিবেচনার জন্য একটি কমিটি রয়েছে, সেই কমিটি আগামী রোববার (১৭ জুলাই) চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবেন বলে জানা গেছে। এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মঞ্জুরুল হক এবং সদস্য সচিব হিসেবে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আক্তার রয়েছেন। এছাড়া জাবির অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তাও কমিটিতে রয়েছেন। 

অন্যদিকে, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আগামী রবিবার (১৭ জুলাই) দুপুর একটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। 

এদিকে জাবির ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তীতে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া পরীক্ষার পূর্বে বিস্তারিত তথ্য ও সিটপ্ল্যান juniv-admission.org ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

জানা গেছে, এবার জাবির ‘এ’ ইউনিটে ৪৬৬ আসনের বিপরীতে ৭৬ হাজার ৩৭৯ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৩৮৬ আসনের বিপরীতে ৪৮ হাজার ৩৪৭ জন, ‘সি’ ইউনিটে ৪৬৭ আসনের বিপরীতে ৫৩ হাজার ৪৩০ জন, ‘ডি’ ইউনিটে ৩২০ আসনের বিপরীতে ৮৭ হাজার ৭২৮ জন ও ‘ই’ ইউনিটে ২৫০ আসনের বিপরীতে ১৮ হাজার ৭২১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।

এবার বিশ্ববিদ্যালয়টির গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) মিলে ‘এ’ ইউনিট; সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদ মিলে ‘বি’ ইউনিট; কলা ও মানবিক অনুষদ, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, চারুকলা বিভাগ এবং বঙ্গবন্ধু ও তুলনামূলক সাহিত্য সংস্কৃতি ইন্সটিটিউট মিলে ‘সি’ ইউনিট; জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ইউনিট এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) মিলে ‘ই’ ইউনিটের অধীনে পাঁচ অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।