০৭ জুলাই ২০২২, ১৯:০৫

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ২০ দিন পেছানোর দাবি

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়   © টিডিসি ফটো

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে এই দাবি জানান তারা। 

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মো. মিলন হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম নামে দুই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এই স্মারকলিপি দিয়েছেন। 

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রামসহ আরও অসংখ্য জেলার প্রায় সবখানেই বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে বাড়ি-ঘর যা ছিল সবকিছু। সাথে ভেসে গেছে বই খাতাও। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সবকিছুই ভেসে গেছে। সেই সাথে ভেসে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন। এ কারণে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরাও দিশেহারা।’ 

শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে আরও জানিয়েছেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার স্বপ্ন দেখে এদেশের প্রতিটা শিক্ষার্থী। বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষার্থীরাও স্বপ্ন দেখে। এই অবস্থায় আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, যা নিজ চোখে না দেখলে কল্পনা করাও যায় না। আমরা আমাদের জীবন নিয়েই এখন খুব আতঙ্কিত। এই অবস্থায় যদি আমাদের স্বপ্নগুলোও বন্যায় ভেসে যায়, তাহলে আমাদের জীবনে আর কি থাকবে? আমরা সবদিকেই চরম সঙ্কটে আছি। বন্যার ভয়াবহতা এখনো কাটেনি। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা খুবই সন্নিকটে কিন্তু আমরা এখনো জীবন নিয়েই খুব শঙ্কিত। 

শিক্ষার্থীদের চাওয়া, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হলেও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষাটা অন্তত ১৫-২০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। তাহলেই তারা মানসিক ও সার্বিক প্রস্তুতি নিতে পারবেন। 

শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এমনেই পিছিয়ে থাকে, এর উপর যদি এরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় ও সেই সাথে স্বপ্নগুলোও ভেসে যায় তবে তো শেষ আশাটুকুও থাকে না। ইতোমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বন্যার কথা চিন্তা করে। আমরাও আপনাদের কাছে মানবিক সিদ্ধান্ত আশা করছি। না হলে আমাদের জীবনে বেঁচে থাকার মতো আর কিছুই থাকবে না।’

এ ব্যাপারে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, ভর্তি পরীক্ষা পেছালে আমরা এই বছর আর পরীক্ষার স্লট পাব না। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষা এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এই পরীক্ষা পেছালে শিক্ষার্থীরাই বেশি সমস্যায় পড়বে।

তিনি আরও বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। খুব শিগগিরই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান থাকবে ভর্তি পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার। পরীক্ষা যথা সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।