১১ জুন ২০২২, ১৩:১২

ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের শেষবারের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ঢাবি ঘ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে বাতিল হতে যাচ্ছে । তাই আজ শনিবার শেষবারের মতো এই ইউনিটে পরীক্ষা দিলেন প্রার্থীরা।

বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এবার ‘ঘ’ ইউনিটে ১ হাজার ৩৩৬ আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৭৮ হাজার ৩১ জন। আসনপ্রতি লড়ছেন ৫৮ জন প্রার্থী।

এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর ১২০। এর মধ্যে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ও লিখিত। বাকি ২০ নম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্টের ওপর। এমসিকিউর জন্য ৬০ আর লিখিত বা বর্ণনামূলকের জন্য ৪০ নম্বর।

‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ অনুষদ ও পাঁচ ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নেয়া হয়। অনুষদগুলো হলো কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ।

অন্যদিকে ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে আছে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ এবং আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট।

এর আগে শুক্রবার বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৭ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

‘ঘ’ ইউনিটের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। আশির দশক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ইউনিটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা চলে আসছে।

তবে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর ডিনস কমিটির সভায় ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

এরপর মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সিদ্ধান্ত হয়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষা হবে চারটি ইউনিটে। থাকবে না সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট। বদলে যাবে ইউনিটগুলোর নামও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেছেন প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৪৮ শিক্ষার্থী। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আসনসংখ্যা ৬ হাজার ৩৫। অর্থাৎ প্রতি আসনের জন্য এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ জন।