ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না ২০১৭ সালে এসএসসি উত্তীর্ণরা
২০১৭ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে চায় না আয়োজক কমিটি। সোমবার অনুষ্ঠিত কোর কমিটির সভায় এই মতামত ব্যক্ত করেছেন কমিটির সদস্যরা।
সভা সূত্রে জানা গেছে, কোর কমিটির সভায় ২০১৭ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সুযোগ দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তবে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সেই প্রস্তাবে সায় দেননি। তারা গত বছরের ন্যায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পক্ষে মত দেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকুল আরেফিন মঙ্গলবার দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসেক বলেন, গত বছরের ন্যায় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ ২০১৮ ও ২০১৯ সালে এসএসসি আর ২০২০ ও ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে চান সবাই।
এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, যেহেতু এখনো ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি তাই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ‘পরীক্ষার নিবন্ধন করতে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে একান্তে সময় কাটান’
এদিকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে আইসিটি বিষয় বাদ দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। সিলেবাস প্রণয়ন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের পদার্থ এবং রসায়ন বিষয়ের বাধ্যতামূলক উত্তর দিতে হবে। গণিত এবং জীববিজ্ঞানের যেকোন একটি বিষয়ের উত্তর করতে হবে। তবে কেউ চাইলে গণিত এবং জীববিজ্ঞান দুটো বিষয়েরই উত্তর করতে পারবে। জীববিজ্ঞান ও গণিতের মধ্যে যেকোন একটি বিষয়ের উত্তর করলে তাকে বাংলা অথবা ইংরেজি বিষয়ের উত্তর করতে হবে। ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ক্ষেত্রে হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ের উত্তর করতে হবে। আর মানবিকের পরীক্ষা হবে বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ওপর।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার মাধ্যমে এবার গুচ্ছ পরীক্ষা শুরু হবে। ১৩ আগস্ট মানবিক বিভাগ ও ২০ আগস্ট বানিজ্য বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা হবে। পরিবর্তন এসেছে নম্বর বণ্টনেও। পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে হলে ১০০ নম্বরের মধ্যে নূন্যতম ৩০ পেতে হবে। এবার পরীক্ষায় চারটি ভুল উত্তরের জন্য এক নম্বর করে কাটা হবে।