জিনসপত্রের দাম বাড়ায় গুচ্ছের আবেদন ফি বৃদ্ধি, যা বলছেন ভর্তিচ্ছুরা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা  © ফাইল ছবি

২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি কমিটি। এর মধ্যে আবেদন ফি ৩০০ টাকা বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বেশ কিছু বিষয়ে শর্তের পরিবর্তন এসেছে। সোমবার (৩০ মে) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক উপাচার্যদের কমিটির এক সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে একজন উপাচার্য আবেদন ফি ৩০০ টাকা বাড়ানোর পেছনে যুক্তি দিয়েছেন, সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে ভর্তি পরীক্ষার ফি বেড়েছে। তবে বিভাগ ভেদে পরীক্ষার ফির কোন পার্থক্য নেই। এ নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে অনেকে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। সেখান থেকে নির্বাচিত কিছু মন্তব্য তুলে ধরা হলো।

সিনহা চৌধুরী লিখেছেন, ‘জিনিসের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে আবেদন ফি বৃদ্ধি! আশ্চর্য রকমের হেলাফেলা হচ্ছে ছাত্র -ছাএীদের নিয়ে! গুচ্ছ গঠন করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে, কিন্তু তাদের একেকবার ভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য দুর্ভোগ বরং বাড়ছে, কমছে না।’

শামসুল হকের ভাষ্য, ‘দেশের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেক খরচ হতো। তা ছাড়া নারী শিক্ষার্থীর জন্য বেশি অসুবিধা। আমি মনে করি ভাল হয়ছে।’

আরেফিন তুর্য মজা করে লিখেছে, ‘সব জিনিসের দাম বাড়ছে, তাই ভিসিদের সংসার চলে না। এর জন্য ভর্তি ফি বাড়িয়ে পুষিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’ মনির ইসলামের মন্তব্য, ‘দেশে বর্তমানে, সর্বত্র ‘শিক্ষা বানিজ্যি’ চরম আকার ধারণ করছে।‘

ফাহমিদা লিখেছেন, ‘গুচ্ছ কমিটি আবেদন ফি বাড়াবে কেনো? তারা গতবার বলেছিল যে, একবার ফি দিয়েই হবে। তাই আবেদন ফি একটু বেশি। কিন্তু রেজাল্টের পরে প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মতো করে আবেদন ফি নিয়েছে। তাহলে গুচ্ছ পরিক্ষার জন্য কেন এতো টাকা ফি দেওয়া লাগবে?’

তিনি আরো বলেছেন, ‘আশ্চর্য রকমের হেলাফেলা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। এখন মনে হচ্ছে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে নয়, শিক্ষা কিনতে দৌঁড়াচ্ছি। যেখানে নাকি বলা হয় গুচ্ছ গঠন করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে, কিন্তু তাদের একেক বার ভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য দুর্ভোগ বরং বাড়ছে, কমছে না।’

আরো পড়ুন: একনজরে দেখে নিন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নতুন সিদ্ধান্তগুলো

সোমবারের সভায় আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার মাধ্যমে এবার গুচ্ছ পরীক্ষা শুরু হবে। ১৩ আগস্ট মানবিক বিভাগ ও ২০ আগস্ট বানিজ্য বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা হবে। পরিবর্তন এসেছে নম্বর বণ্টনেও। পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে হলে ১০০ নম্বরের মধ্যে নূন্যতম ৩০ পেতে হবে। এবার পরীক্ষায় চারটি ভুল উত্তরের জন্য এক নম্বর করে কাটা হবে। 

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট জিপিএ ৭ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া)। এ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট জিপিএ ৬.৫ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) এবং মানবিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মোট জিপিএ ৬ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) থাকতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ