জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন নিয়ে নানা প্রশ্নোত্তর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদন আগামী রোববার (২২ মে) বিকাল ৪টা থেকে শুরু হবে। এ আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ৯ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে।
এ ভর্তি আবেদন নিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে প্রশ্ন জেগেছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সেসব প্রশ্নের বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। জেনে নেওয়া যাক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদনে কিছু প্রশ্নোত্তর।
প্রশ্ন ১: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স (স্নাতক) ভর্তি আবেদনের শুরু ও শেষ কবে?
উত্তর: ২২ মে বিকাল ৪টা থেকে ৯ জুন রাত ১২.০০ টা পর্যন্ত।
প্রশ্ন ২: এ বছর আবেদনের যোগ্যতা কি বা আবেদন করতে কত পয়েন্ট লাগবে?
উত্তর: বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদা আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট করে থাকতে হবে। এছাড়া মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষা জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট ও এইচএসসি পরীক্ষা জিপিএ ৩.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। এদিকে যে সকল শিক্ষার্থীরা ২০১৮/২০১৯ সালে এসএসসি ও ২০২০/২০২১ সালে এইচএসসি পাস করেছেন তারা ভর্তি আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্ন ৩: আবেদন কিভাবে করবো বা আবেদন করার পদ্ধতি কি?
উত্তর: এক নজরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া
প্রশ্ন ৪: আবেদন করতে কত টাকা লাগবে?
উত্তর: আবেদন ফি ২৫০ টাকা
প্রশ্ন ৫: টাকা কি কলেজে গিয়ে জমা দিতে হবে?
উত্তর: না! কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করতে হবে। এরপর সেটার কপি প্রিন্ট করে আবেদন পত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
প্রশ্ন ৬: আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে?
- SSC+HSC পরীক্ষার রোল
- রেজিস্ট্রেশন নম্বর
- ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি
- একটি সচল মোবাইল নম্বর
প্রশ্ন ৭: কাগজপত্র কিভাবে জমা দিতে হবে ??
উত্তর: যে কলেজের জন্য আবেদন করবেন সেই কলেজে গিয়ে জমা দিতে হবে।
প্রশ্ন ৮: এসএসসিতে জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট এর নিচে আছে, এইচএসসিতে জিপিএ ৩.০০/৩.৫০ পয়েন্ট এর উপরে আমি কি আবেদন করতে পারবো?
উত্তর: না! সম্ভব না।
প্রশ্ন ৯: ২০২০ সালে এইচএসসি পাশ করেছি, আমি কি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সের (স্নাতক) জন্য আবেদন করতে পারবো?
উত্তর: হ্যাঁ পারবেন, যদি এসএসসি পাসের সাল ২০১৮ হয়।
প্রশ্ন ১০: ২০১৭ সালে এসএসসি পাস করেছি, আমি কি আবেদন করতে পারবো?
উত্তর: না। অনার্সে (স্নাতক) আবেদন করতে পারবেন না।
প্রশ্ন ১১: যাদের পয়েন্ট উপর্যুক্ত শর্তের কম বা পাসের সাল কম তারা কি করবে?
উত্তর: তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন।
প্রশ্ন ১২: আমার পয়েন্ট রয়েছে। পছন্দের কলেজ ও সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারব?
উত্তর: এগুলো নিশ্চিতভাবে বলা যায় না, সম্ভাবনা বলা যায়। এটা নির্ভর করবে কোন কলেজে কেমন পয়েন্ট নিয়ে কোন সাবজেক্ট চয়েস দেওয়ার ওপরে।
আরও পড়ুন : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকা প্রণয়ন ও বিষয় বণ্টন যেভাবে
প্রশ্ন ১৩: বিভাগীয়/জেলা/উপজেলা পর্যায়ের কলেজ কোনগুলো?
উত্তর: বিভাগের মূল শহরে যে কলেজগুলো রয়েছে, সেগুলো বিভাগীয় কলেজ। জেলার কলেজগুলো জেলা পর্যায়ের। আর উপজেলার কলেজগুলো উপজেলা পর্যায়ের কলেজ।
প্রশ্ন ১৪: কয়টি সাবজেক্ট চয়েস দেওয়া যায়?
উত্তর: যতগুলো সাবজেক্ট শো করবে তার সবগুলো।
প্রশ্ন ১৫: আমার পছন্দের কলেজে কি কি সাবজেক্ট আছে, কয়টি সীট আছে জানবো কিভাবে?
উত্তর: কলেজ ও সাবজেক্ট চয়েস দেওয়ার সময়ে দেখা যাবে।
প্রশ্ন ১৬: কয়টি কলেজ চয়েস দেওয়া যায়?
উত্তর: প্রথমে ১টি। চান্স না হলে প্রত্যেক রিলিজ স্লিপে ৫টি কলেজ।
প্রশ্ন ১৭: সাবজেক্ট চয়েস কিভাবে দেবো/কোন সাবজেক্ট ভালো হবে?
উত্তর: নিজের সবচেয়ে বেশি পছন্দের বিষয়গুলো প্রথম দিকে রাখবেন। মনে রাখবেন। যে সাবজেক্টে পড়বেন না, সেটা কখনোই চয়েস লিস্টে রাখবেন না।
প্রশ্ন ১৮: আবেদন করে ফেলেছি ভুল হয়েছে। চয়েস লিস্ট চেঞ্জ করতে চাচ্ছি, কি করবো?
উত্তর: একবার নিজের সংশোধন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই কলেজে কাগজপত্র জমা দেওয়ার আগে।