কৃষি গুচ্ছে সিলেকশন বৃদ্ধির দাবিতে বাকৃবি ভিসিকে স্মারকলিপি

কৃষি গুচ্ছে সিলেকশন বৃদ্ধির দাবিতে বাকৃবি ভিসিকে স্মারকলিপি
কৃষি গুচ্ছে সিলেকশন বৃদ্ধির দাবিতে বাকৃবি ভিসিকে স্মারকলিপি  © ফাইল ছবি

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় সিলেকশন বৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। আজ সোমবার (১৬ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার পক্ষ থেকে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরিফ নামে একজন কর্মকর্তা।

স্মারকলিপিতে ভর্তিচ্ছুরা বলেছেন, করোনা মহামারীতে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় পূর্বের এইচএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার উপর সাবজেক্ট ম্যাগিং করে ফলাফল দেওয়া হয়। এতে শুধুমাত্র বিজ্ঞানে ১২৩৬২০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়। ২০২১ সালে শট সিলেবাসের উপর অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২০২৩০ জন শিক্ষার্থী।

সমন্বিত কৃষি ভর্তি পরীক্ষায় গভবছর নূন্যতম জিপিএর ভিত্তিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়ায় সর্বমোট ৭৬৫৩১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ভিত্তিক মোট নম্বরের ভিত্তিতে সিলেকশন করে মোট ৩৪৮৪৬ জন ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হয় যা আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের অর্ধেকেরও কম। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সবার শেষে হওয়ায় ও অনেকে অনেক জায়গায় চান্স পাওয়ায় গতবছরগুলোতে মাত্র ২৩০০০* শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেয়।

আরও পড়ুন: কীভাবে নেবে ৭ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি প্রস্তুতি

এতে আরও বলা হয়, এখানে আবেদনের যোগ্যতা জিপিএর ভিত্তিতে নির্ধারিত হলেও সিলেকশন হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ভিত্তিক মোট নম্বরের উপর যা দ্বৈত নীতিরই নামান্তর। এতে অনেক শিক্ষার্থী যারা গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছিলো কিন্তু নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক নাম্বার কম ছিলো। তারা প্রস্তুতি নিয়েও ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ পায়নি। জিপিএর ভিত্তিতে সিলেকশন না হওয়ায় এইচএসসির জিপিএর মূল্য কোথায় তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন উঠেছে।

ভর্তিচ্ছুরা বলেন, ধারাবাহিকভাবে কৃষি গুচ্ছ শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান ফলাফল ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধির দাবি উঠেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। ভর্তি কর্তৃপক্ষ চাইলেই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো তাদের সীমাবদ্ধতা দূর করে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সুযোগ দিতে পারে।

এছাড়াও সিলেকশন থাকায় অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ কৃষি ভর্তি পরীক্ষায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষের দিকে আসনসংখ্যাও কিছু খালি থাকে। যদি সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়া হয়। তবে অনেক শিক্ষার্থী যারা কৃষিবিদ হওয়ার স্বপ্ন লালন করে তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ মেধাবীরাই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে।

স্মারকলিপিতে তারা আরও বলেন, অনুগ্রহ করে সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সিলেকশন সর্বোচ্চ বৃদ্ধি (অন্তভ সীট সংখ্যার ৬০ গুন বা তার অধিক) করে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ