‘টাকার অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে ভাই, তাই চিকিৎসক হতে চেয়েছি’
সুমি রায়। ফেনীর দাগনভুঞার জায়লস্কর ইউনিয়নের পূর্ব হীরাপুরের পান বিক্রেতা পরিমল রায়ের মেয়ে। এবছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু সুমি ভর্তির টাকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ২৭৭তম হয়েছেন সুমি। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি ৮৩ দশমিক ২৫ পেয়েছেন।
সুমি বলেন, সিলোনিয়া হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও ফেনী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে পেয়েছেন গোল্ডেন জিপিএ-৫। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।
সুমি রায় জানান, তার বাবা পরিমল রায় সিলোনীয়া বাজারে পান বিক্রি করে সংসার চালান। মা গৃহিণী। বাবার একার আয়ে চলে সংসার। এইচএসসির পর আত্মীয় স্বজনদের সহযোগিতায় কোচিংয়ে ভর্তি হয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।
পরিমল রায় ও শিখা রানীর তিন সন্তানের মধ্যে সুমি মেজো। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হয়ে বড় ভাই মারা গেছেন। তারপর থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন লালন করেন সুমি।
আরও বলেন- নওগাঁর স্কুলে হিজাবকাণ্ডের পেছনে কী?
সুমি বলেন, চিকিৎসক হয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজেকে নিয়োজিত করবেন। এছাড়া ছোটবেলায় জেনেছেন যার সন্তান চিকিৎসক তার মাকে রত্নগর্ভা বলা হয়। তাই মাকে রত্নগর্ভা বানাতে তিনি চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন।
সুমির বাবা পরিমল জানান, মেয়ে মেডিকেলে উত্তীর্ণ হলেও অর্থের যোগান নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। তিনি বলেন, ভর্তির জন্য মোট ২৫ হাজার টাকা লাগবে। আত্মীয়-স্বজন সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন।