ঢাবির ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে শূণ্য আসন পূরণে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে শূণ্য আসন পূরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে। আজ রোববার (১৩ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইউজিসির চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার, ‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি কমিটির সমন্বয়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন বরাবর নোটিশটি দেয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিবেক চন্দ্র ভর্তিচ্ছু কে এম আব্দুল হালিমের পক্ষে নোটিশটি পাঠান। কে এম আব্দুল হালিম ভর্তি পরীক্ষায় ১৫৪১তম স্থান অর্জন করেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১৫৭০টি। এই ইউনিটের সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে ১৬০টি শূণ্য আসনের বিপরীতে ১২৭৬ থেকে ১৮০০তম স্থান অর্জনকারীদের ডাকা হয়। এই ধাপে সর্বশেষ সাক্ষাৎকার দেন ১৫২৭তম স্থান পাওয়া শিক্ষার্থী। পরে বিভাগ পরিবর্তন ও সাক্ষাৎকার দিয়ে ভর্তি না হওয়ার কারণে আরও কিছু আসন খালি হয়। ওই আসনগুলোতে এখন ভর্তি নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। যা সংবিধানের ২৭ ও ২৮ নং অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
নোটিশপ্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, অন্যথায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়া হবে।
আরও পড়ুন- ডেন্টাল ভর্তি: কোন মেডিকেলে কত আসন
এদিকে শূণ্য আসনে ভর্তির দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি করেছেন, দুই ইউনিটে এখনও প্রায় দুই শতাধিক আসন ফাঁকা রয়েছে। তারা বলেন, অনেক শিক্ষার্থী সাক্ষাৎকার দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি আবার কেউ কেউ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিষয় পাওয়ায় সেখানে ভর্তি হয়েছে। এখানকার ভর্তি বাতিল করেছে। যার কারণে আসনগুলো ফাঁকা হয়েছে। এসব শূণ্য পদ পূরণে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তারা।
তবে ঢাবির ‘ক’ ইউনিটে কোন আসন ফাঁকা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ। তিনি বলেন, আমাদের অনুষদে কোন আসন ফাঁকা নেই। গত ৯ জানুয়ারি থেকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে। আসন ফাঁকা না থাকলেও তো আর শিক্ষার্থী ভর্তি করানো সম্ভব না। যারা আসন ফাঁকা থাকার কথা বলছে তারা না জেনেই বলছে।