সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই ভর্তি পরীক্ষা নিতে চেয়েছিল আয়োজক কমিটি
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকেই নিতে চেয়েছিল আয়োজক কমিটি। তবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের একক সিদ্ধান্তের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে এতে ‘ভেটো’ দেন স্বাস্থ্য শিক্ষার ডিজি। বৈঠকে উপস্থিত অন্য সদস্যরাও তখন এই বিষয়ে আর কোনো কথা বলেন।
সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বাদল সভাপতিত্ব করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ এইচএম এনায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীবসহ বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যে সিলেবাসে হবে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বৈঠকে উপস্থিত ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির এক সদস্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকেই ভর্তি পরীক্ষা নিতে চেয়েছিলাম। তবে ডিজি স্যার সরাসরি এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। সেজন্য পরবর্তীতে এই বিষয়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি।
তার মতে, এবার ভিন্ন পরিস্থিতির কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়টি এসেছিল। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেহেতু সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সেহেতু তাদের ভর্তি পরীক্ষাও এই সিলেবাসের আলোকে নেয়া দরকার ছিল। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা দিলে কেউ খারাপ ডাক্তার হবে বিষয়টি তেমন না।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর মধ্যে গত বছরের ২ এপ্রিল সারাদেশে একযোগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেবার ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে ৪ হাজার ৩৫০টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষার একদিন পর ৪ এপ্রিল ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেন ৪৮ হাজার ৪৮ হাজার ৯৭৫ জন।