গুচ্ছে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে স্মারকলিপি দেবে শিক্ষার্থীরা
আগামী বছর গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ রাখার দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেবে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। আগামী সোমবার (১০ জানুয়ারি) এই স্মারকলিপি দেয়া হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গুচ্ছে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনরতদের অন্যতম সমন্বয়ক শহিদুল সর্দার সুমন জানান, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী বছর যেন দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হয় সেজন্য আমরা জবির উপাচার্য স্যারের কাছে স্মারকলিপি দেব। এতে কাজ না হলে পরবর্তীতে আরও বড় কর্মসূচি দেয়া হবে।
সুমন জানান, ২০২০-২১ সেশনের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই শাবিপ্রবির উপাচার্য গুচ্ছে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ না রাখার কথা বলেছেন। তবে বিষয়টি অযৌক্তিক। বিশ্বের সব দেশেই শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হয়। তাহলে আমাদের কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলেছি। তারা সবাই শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: নেগেটিভ মার্কিং নিয়ে যা বলছে আয়োজক কমিটি
তিনি আরও বলেন, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনিও চান শিক্ষার্থীরা যেন দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পায়। আমরা আমাদের দাবিগুলো আরও জোরালো ভাবে উপস্থাপন করতেই আগামী ১০ জানুয়ারি স্মারকলিপি প্রদান করবো।
তথ্যমতে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বসে ২০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথমবারের এই আয়োজনে শর্ত সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ ছিল। তবে আগামী বছর থেকে আর এ সুযোগ থাকছে না বলে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগের দাবিতে সরব শিক্ষার্থীরা, যা ভাবছে কর্তৃপক্ষ
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, আগামীবার থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আমরা সেকেন্ড টাইমারদের পরীক্ষা না নেওয়ার কথা ভাবছি। বর্তমানে সারাদেশে কোচিং বাণিজ্য চলছে। একজন সেকেন্ড টাইমার ফার্স্ট টাইমারদের চেয়ে এক বছর বেশি সময় পায়। এই এক বছর তারা ভর্তি প্রস্তুতি নিতে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকে। এসব কোচিং সেন্টারগুলোতে তাদের জালিয়াতি শেখায়।
তবে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের সঙ্গে গুচ্ছের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা দ্বিমত পোষণ করছেন। এ কারণে এখনও বিষয়টি ঝুলে আছে। আগামীতে ভর্তি কমিটির বৈঠকে বসে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যরা এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।