সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে সবাই একমত: শিক্ষামন্ত্রী
চলতি বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ রবিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এর আগে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন তিনি। এ সময় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা এবার এইচএসসি দিয়েছে তাদেরও তো ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। সেক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন উঠেছে যে, তারা এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে দিলো, এখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কোন সিলেবাসে হবে?
“আমার যতদূর কথা হয়েছে সকলে প্রায় একমত যে, এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপরই ভর্তি পরীক্ষা হবে। তবে সাধারণ জ্ঞানের বিষয়টা ভিন্ন, সেটা যেকোনো জায়গা থেকে হতে পারে। আশা করি, আমাদের শিক্ষার্থীদের আর কোন সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ।”
তিনি বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর শিক্ষাব্যবস্থায় আমাদের কিছুটা ক্ষতি তো অবশ্যই হয়েছে। যদিও আমরা অনেকভাবেই সে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ায় কিছু ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এখন যেহেতু করোনা সংক্রমণ একটু ঊর্ধ্বগামী, সেজন্য করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে। যদি করোনা পরিস্থিতি বেশি খারাপ হয় তবে ঘাটতি পুষিয়ে ওঠা অনেক চ্যালেঞ্জের হবে। এই ঘাটতি একটি শিক্ষাবর্ষে পূরণ করতে পারব, এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা ঘাটতি কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা নতুন কারিকুলাম নিয়ে আসছি। সেটা বাস্তবায়নে করোনা যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, স্কুলগুলোতে ক্লাস শুরু হয়েছে। আমরা চাইছি ক্লাসের সংখ্যা বাড়াতে। করোনার সংক্রমণের হার বাড়ায় এখনই স্বাভাবিক কার্যক্রমে যেতে পারছি না। মার্চ পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমরা যদি মার্চ মাস ভালোভাবে পার করতে পারি, আশা করি স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যেতে পারব।