ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা, রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ কাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী কালবৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, কালকের সমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। অনেকেই আজ বুধবার রাতে রওনা দেবেন। যেকোন মূল্যে কালকের সমাবেশ সফল করার ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এ প্রসঙ্গে নুসরাত জাহান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, আগামীকালকের আন্দোলিনে যোগ দিতে ইতোমধ্যে ঢাকায় অনেকেই চলে এসেছেন। অনেকে রাস্তায় আছেন। আর বাকিরা রাতে রওনা দেবেন। কালকের আন্দোলন যেকোন মূল্যেই হোক সফল করা হবে।
আরও পড়ুন: ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগে হলি ফ্যামিলির চিকিৎসক গ্রেফতার
এদিকে আন্দোলনের ডাক দেয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, যারা প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো বিষয় পায় না তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মাথায় রেখে যুগোপযোগী বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়তে চাওয়াটা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মতো নম্বর কর্তন করার বিধান রেখে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে পারে। এছাড়া যারা প্রথমবারেই চান্স পেয়ে ভর্তি আছে, তারা আর পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন শর্ত দিয়েও ঢাবিতে সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ একেবারে বন্ধ করে দেয়া কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রয়োজনে আমরা আমাদের জীবন বিলিয়ে দেব তবুও আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করেই ছাড়বো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড টাইম ফেরত চাই। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবি আমাদের অধিকার। আমাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়ার অধিকার ঢাবি কর্তৃপক্ষের নেই।
আরও পড়ুন: পদপ্রত্যাশীদের বাধায় মধুর ক্যান্টিনে যেতে পারে না কেন্দ্রীয় ছাত্রদল
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখলে অনেক মেধাবী ছাত্র ঢাবিতে পড়ার সুযোগ পাবেন না- এ ধারণা থেকে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে। পরে ঢাবির এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছুরা তখন আন্দোলন করেছিলেন। এছাড়া এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক আদালতে রিটও করেছিলেন।